এক প্রদীপের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ও ক্ষোভ না থামতেই প্রকাশ্যে আসলো পুলিশের আরও এক প্রদীপের নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা। অভিযুক্ত হচ্ছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাস। আদালতে নিজ কক্ষে নারী কনস্টেবলের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তার ধরা পড়া নিয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সিলেট আদালতের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আদালত সূত্র জানায়, ছুটিতে থাকা এক নারী কনস্টেবলকে রাতে কোর্ট বিল্ডিংয়ের নিজ কক্ষে ডেকে আনেন ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাস। পরে বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে কোর্ট ইন্সপেক্টরের কক্ষের দরজা খোলা এবং ভেতরে আলো নেভানো দেখে অন্য পুলিশ সদস্যরা সেই কক্ষে ঢোকেন। এ সময় আলো জ্বালালে দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
এই ঘটনায় ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। এছাড়া তাকে ক্লোজডও করা হয়েছে।
প্রদীপকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে নাজমুল হক নাজমুল লিখেছেন, ‘‘এক সময় আমাদের শিক্ষকরা শিক্ষা দিতেন প্রদীপ অর্থ হল আলো। এখন আমাদের সন্তানরা প্রদীপদের কান্ড দেখে প্রদীপ নাম মুখে নিতে চায়না। প্রদীপ নামটি শুনলেই ঘৃনা হয়।’’
ফারুক হাসান লিখেছেন, ‘‘আপত্তিকর অবস্থায় নারী পুলিশের সঙ্গে ধরা পড়ল ইন্সপেক্টর প্রদীপ! এই প্রদীপ নামক পুলিশ সদস্যদের কিছুই হবেনা, কারণ এদের শক্তি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে। অথচ কোন দাঁড়ি টুপি ওয়ালা নিজের বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও গেলে, সেটা নিয়ে এতক্ষণে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়ে দেওয়া হতো।’’
সামির খন্দকারের মন্তব্য, ‘‘ধর্ষণের মামলা যদি যাবজ্জীবন হয়,তাহলে ঐ ধর্ষককেও তাই করা হোক, বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে কি হবে..? হয়তো কিছুদিন ক্লোজ করে রাখবেন। কিছুদিন পরে আবারও তাই করবে। কুত্তার লেজ কখনো সোজা হয়না,তাই ওরও চরিত্র কখনো ঠিক হবে না।ওকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হোক।’’
নজরুল ইসলামের মন্তব্য, ‘‘আবারো সেই প্রদীপ, নামে টানে জমেরে । এই নাম গুলো এত সুন্দর এবং আলোকিত, অথচ এর পাশেই কুৎসিত কালো অন্ধকার।’’
মোঃ রানা ক্ষোভ জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘এক প্রদীপ এখনো নিভাইতে পারলামনা ঐদিকে আরেক প্রদীপ দেখি আপন শক্তিতে জ্বলে উঠেছে,, তদন্ত চলছে।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন