করোনা মহামারিতে নজিরবিহীন আর্থ-সামাজিক সঙ্কটের মধ্যেও বরিশাল কর অঞ্চলে আয়কর সংগ্রহে ১৩% প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। গত অর্থবছরে বরিশাল কর অঞ্চলে সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা কর আহরণ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে জুন পর্যন্ত প্রায় ৫৯৩ কোটি টাকা আয় সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল সোয়া ৫শ’ কোটি টাকার মত।
তবে করদাতাদের সাথে আরো নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলাসহ সৌজন্যমূলক আচরণ বৃদ্ধির তাগিদ রয়েছে কর দাতাদের তরফ থেকে। পাশাপাশি যেকোন অসৎ উদ্দেশে ন্যূনতম বাড়তি চাপসহ হয়রানি পরিহারের বিষয়টির প্রতিও বিশেষ নজরদারির আহবান জানানো হয়েছে। কর দাতাদের সামাজিক ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতিও গুরুত্ব প্রদানের তাগিদ দিয়েছেন একাধিক করদাতা।
করোনা মহামারিতে গত দুটি অর্থ বছরের শেষ ৩টি মাসে সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা বরিশাল কর অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায়ও বিরূপ প্রভাব ফেলে। এরপরেও গত অর্থবছরে দক্ষিণাঞ্চলে আয়কর রিটার্ন দাখিল, নতুন করদাতা তালিকাভুক্তসহ কর আদায়ে প্রবৃদ্ধিকে যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলছেন কর প্রশাসনের দায়িত্বশীল মহল। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষ রিটার্ন দাখিল করেছেন। এমনকি নভেম্বর মাসজুড়ে রিটার্ন ব্যবস্থাপনা ও কর তথ্য সেবা প্রদান কার্যক্রমে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ রিটার্ন দাখিল করেন।
তবে এ অঞ্চলে কর প্রশাসন এখনো চলছে জনবল সঙ্কটসহ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে। বরিশাল কর অঞ্চলের ২২টি সার্কেলে মঞ্জুরিকৃত প্রায় ২৬৫ জনবলের মধ্যে অর্ধ শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদই শূন্য। ২২টি সার্কেলে ৮টি উপ-কমিশনারের পদ শূন্য। এদিকে বরিশালে কর কমিশনারেট এর জন্য একটি বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়টি গত প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে নানা টেবিলে ঘুরপাক খাচ্ছে। বরিশাল মহানগরীর নিজস্ব ও ভাড়া বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কর কমিশনারসহ উপ-কমিশনারদের দফতরগুলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন