বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সিলেটে মিনি ম্যারাথন

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:৫৯ পিএম

ভোরের আলোয় আলোকিত হওয়ার আগেই এই কনকনে শীতে সিলেটের রাজপথে উপস্থিত হাজারো মানুষ। সচরাচর এমন দৃশ্য দেখা যায় না বললেই চলে। পযর্টন নগরী সিলেটে এই মানুষের উপস্থিতি অবশ্যই ভিন্ন কিছুর লক্ষ্যে। বিশ্বের জনপ্রিয় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য মূলত এ উপস্থিতি। শুধু সিলেট নয় দেশের নানা প্রান্ত থেকে দৌড়বিদরা গতকাল স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সিলেট কুশিয়ারা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে হাফ ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করতে যান।

গতকাল ভোর ৬ টায় সিলেট রানার্স কমিউনিটির আয়োজনে সিলেট হাফ ম্যারাথন শুরু হয়। দৌড়বিদরা সিলেট ঐতিহ্যবাহী ক্বীন ব্রিজ এলাকা থেকে দৌড় শুরু করেন দৌড়। এই দৌড় সিলেট নগরী হয়ে মালনী ছড়া চা বাগান হয়ে শহরতলীর ২২ টিলায় ঘুরে ২১.১ কিলোমিটার দৌড়ে দিয়ে সিলেট আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফিনিস লাইনে এসে শেষ হয়। সকাল ১০টায় স্টেডিয়ামে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট মেডেল এবং নগদ টাকা তুলে দেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকারিয়া এবং সিলেট রানার্স কমিউনিটির সদস্য ডা. ওরাকাতুল জান্নাত, মনজুর আহমেদ আরিফ প্রমুখ। এই ম্যারাথনের দুটি বিভাগ ছিলো- একটি ২১.১ কিলোমিটার এবং ১০ কিলোমিটার এই দুটি বিভাগে নারী-পুরুষসহ ১২০০ দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করেন। ২১.১ কিলোমিটারে ১৫ জন নারী ও ৩৩৫ জন পুরুষ মিলে ৩৫০ জন অংশ নেন। ১০ কিলোমিটার বিভাগে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পুরষদের ১০ কিলোমিটার বিভাগে ২য় স্থান অর্জন করেন গোলাম রাহাত এবং চ্যাপিয়ন হন সাজ্জাদ হোসেন স্নিগ্ধ। পুরুষদের ২১.১ কিলোমিটার বিভাগে ৩য় হয়েছেন মো. আলামীন, ২য় মো. আসিফ বিশ্বাস, চ্যাপিয়ন হন মো. এলাহী সরদার। নারীদের ২১.১ কিলোমিটার বিভাগে ৩য় হয়েছেন নাসিফা জাহান ওয়াহাব, ২য় হয়েছেন মৌসুমী আক্তার তন্নি, চ্যাপিয়ন হয়েছেন নাসরিন বেগম। অন্যদিকে নারীদের ১০ কিলোমিটার বিভাগে ৩য় হয়েছে ১১ বছর বয়সী স্নেহা জান্নাত, ২য় হয়েছে ১১ বছর বয়সী আফসানা হালিমা, আর চ্যাপিয়ন হয়েছে আরেক ছোট দৌড়বিদ সাইদা আক্তার রিনা।

৫৪ বছর বয়সী হাসিনা আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমি ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভোগছিলাম। কিন্তু আমি যখন রানিং শুরু করলাম, আমার অনেক ভালো লাগতে শুরু করলো। এখন রানিং করার আমার একটা নেশা হয়ে গেছে। সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকারিয়া বলেন, আমাদের এই কঠিন সময়ে স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই, আমরা মনে করি রানিং মানুষকে সুস্থ রাখে আশা করবো সবাই এই চেষ্টাটা করবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন