আজ ৪ ডিসেম্বর। শেরপুরের ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী অঞ্চলকে শক্রমুক্ত করে। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ সকালে শেরপুর সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে পাক হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। শুরু হয় প্রতিরোধ সংগ্রাম। ২৩ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে ঝিনাইগাতীর তাওয়াকুচা পাক বাহিনীর ক্যাম্প দখল করে। নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই এ জেলার শত্রু সেনাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যেতে থাকে। ৩ ডিসেম্বর শ্রীবরদী, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী সীমান্ত ঘাঁটিতে মুক্তিবাহিনী, মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমণে হানাদাররা দিশেহারা হয়ে পড়ে। তারা তাদের ঘাঁটিগুলোতে রাজাকার-আলবদরদের রেখে দ্রুত পশ্চাদপসরণ করে জামালপুরের দিকে। তাই অনেকটা বিনা বাধায় ঝিনাইগাতী মুক্ত হয়। পরে জামালপুরের কামালপুর দুর্গ পতনের আগাম সংবাদ পেয়ে ৩ ডিসেম্বর রাত দেড়টায় ঝিনাইগাতীর শালচুড়া ক্যাম্পের পাকিস্তানী বাহিনী পিছু হটে। এরপর হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে আহমদনগর ও মোল্লাপাড়া ক্যাম্প গুটিয়ে পাকিস্তানী সৈন্যরা শেরপুর শহরে আশ্রয় নেয়। আর ৪ ডিসেম্বর বিনা যুদ্ধে ঝিনাইগাতী শক্রমুক্ত হয়।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু জানান, ২৭ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ডা. সৈয়দ হোসেন ও তৎকালীন ছাত্রনেতা ফকির আব্দুল মান্নান মাস্টারকে সঙ্গে নিয়ে তারা নকশি ই.পি.আর ক্যাম্পে যান। ক্যাম্পটির সুবেদার হাকিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এ সময় তারা দেশকে শত্রুমুক্ত করতে পাকিস্তনি বাহিনীকে প্রতিরোধের পরিকল্পনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন