এবারের উচ্চ মাধ্যমিক কারিগরি (বিএম) শাখার পরীক্ষায় কলেজের পাওনা পরিশোধ করতে না পারায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় নাটোর জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে প্রবেশপত্র নিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক।
নাটোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আখতার হোসেনকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদ জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহ তদন্ত করার জন্য নাটোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আখতার হোসেনকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে নাটোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আখতার হোসেন জানান, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবারই জেলা প্রশাসক মোবাইল ফোনে তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় তদন্তের অফিশিয়াল কোন আদেশ তিনি হাতে পাননি। তবে রবিববার পত্রটি হাতে পাবেন এবং সেদিনই তিনি তদন্ত শুরু কওে যত দ্রæত সম্ভব প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলেও তিনি জানান।
নাটোর সদরের চন্দ্রকোলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী একই এলাকার বাঙ্গাবাড়ি গ্রামের মৃত সামসুদ্দিন মন্ডলের ছেলে দরিদ্র পরীক্ষার্থী জরিপ আলী টাকার অভাবে প্রবেশপত্র তুলতে না পেরে বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন অনুপস্থিত থাকে। পরীক্ষার প্রায় শেষ সময়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক কেন্দ্র সচিব নাটোর মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল রেজাউল করিমের মাধ্যমে ঐ পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে এনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। একই সময়ে তিনি নিজে কেন্দ্রে এসে কলেজের সেসন ফিসহ পরীক্ষার ফি’য়ের দুই হাজার একশত টাকাও পরিশোধ করেন।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, জরিপ আলীর বাবা নেই, মা মানসিক রোগী। টাকার অভাবে সময় মত পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারার খবর শুনে তাৎক্ষণিক তিনি তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন এবং কেন্দ্রে গিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে তার কলেজের পাওনাদি পরিশোধ করে দিয়েছেন। কিছুটা দেরিতে পরীক্ষা শুরু হলেও এমন দরিদ্র পরিবারের সন্তানের একটি বছর নষ্ট হোক তিনি কোন ভাবেই তাহতে দিতে চাননি। একই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমি পারভিন জানান, জরিপ আলী করনিকের নিকট থেকে প্রবেশপত্র না পাওয়ার বিষয়টি তাকে অবগত না করায় তিনি জরিপ আলীকে সহযোগিতা করার কোন সুযোগ পাননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন