‘টিনশেড ঘর ভাড়া দেওয়া হবে’-এমন বিজ্ঞাপন দেখে ভাইবোন পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া নেন এক নারী ও এক পুরুষ। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পর ওই ঘরেই পাওয়া গেল সেই নারীর লাশ। তবে লাশ উদ্ধারের আগেই পালিয়ে গেছেন ওই পরুষ। গত শুক্রবার রাজধানীর ভাটারার নুরের চালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে নিহত নারীর পরিচয় পাওয়া না গেলেও গতকাল তার পরিচয় সনাক্ত করেছে পুলিশ। নিহতের নাম হামিদা বেগম (৪১)। তিনি বরগুনা জেলার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, হামিদার সঙ্গে থাকা ওই পুরুষ সঙ্গী তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। গত শুক্রবার রাতে পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ আরো জানায়, ভাড়া নেওয়ার সময় তারা নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন সম্পর্কে ভাই ও বোন হিসেবে।
বাসায় থাকবেন বোন। শুক্রবার দুপুরে পাঁচ হাজার টাকায় ঘরটি ভাড়াও নেন তারা। বিকেলে জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি এবং অগ্রিম টাকা পরিশোধ করবেন বলেও বাড়িওয়ালাকে জানান। তবে ঘরটি অপরিষ্কার থাকায় সেটি তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করতে চান। বাড়িওয়ালা এতে রাজি হন এবং ঘরটি ছেড়ে দেন।
পুলিশ জানায়, হামিদার গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। লাশের অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ওই নারীকে খুন করা হয়।
ভাটারা থানার ওসি সাজেদুর রহমান গতকাল সন্ধ্যায় ইনকিলাবকে বলেন, কাজের সন্ধানে হামিদা ঢাকায় আসেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। তবে পলাতক ওই পুরুষের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তাকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান ওসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন