শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার মূল বাধা সরকার

প্রকৌশলীদের মানববন্ধনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৭ এএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের কোনো আইনেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য বাধা নেই। এই আইনের বাধা একজনই সেটা হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে দেশের আইন মনে করেন। তিনি যা বলবেন তাই আইন। তিনি চাইলে যে যত বড় হোক না কেনো তাকে শাস্তি পেতে হবে। যত বড় রাজনীতিবিদ হোন না কেনো শাস্তি পেতে হবে। যদিও সে ভালো মানুষ হয় প্রধানমন্ত্রী চাইলে শাস্তি পেতে হবে।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) এর উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের গণমাধ্যম বলছে- বেগম খালেদা জিয়ার থেমে থেমে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আর তারা বলছে দেশের ভেতরে চিকিৎসা সম্ভব। তারা কিছুই মনে করেন না। তারা যেটাই বলবে সেটাই বিশ্বাস করতে হবে? তাহলে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা কেনো সিঙ্গাপুরে হলো? কেনো বিমান চার্টার্ড করা হলো? কেনো দেশের চিকিৎসকরা তাকে সারিয়ে তুলতে পারেননি? কেনো সেদিন বলেননি যে কাদেরের চিকিৎসা বাংলাদেশেই হবে? এই ধরনের দ্বিচারিতা ও স্বৈরাচারি ফ্যাসিস্ট মনোভাবের জন্য আপনাকে একদিন জবাব দিতে হবে।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্রাটের মতো, সুলতান বা সুলতানার মতো দেশ চালাচ্ছেন। আর তার মন্ত্রীরা আমিরের মতো চলেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যা বলেন তার আমির উমরারা একই বুলি আওড়াতে থাকে। তিনি যা বলেন তার মন্ত্রীরা আরো বাড়িয়ে বলেন। না হলে আমিরগিরি থাকেনা।
তিনি বলেন, পাকিস্তান, মালদ্বীপ সহ অনেক দেশকেই আমেরিকা তাদের গণতন্ত্র সম্মেলনে ডেকেছে। কিন্তু বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ শেখ হাসিনা প্রায়ই বলেন তিনি নাকি মানুষকে ভাতের অধিকার ও গণতন্ত্র দিয়েছেন। তাহলে আপনাকে ডাকেনি কেনো? এই প্রশ্ন তো সবার মুখে মুখে। কারণ একটাই আপনার গণতন্ত্র প্লাস্টিকের গণতন্ত্র, কচু পাতার উপরে যে পানি থাকে সেই পানির মতো গণতন্ত্র। কচু পাতার মতো টলা দিলেই পানি পড়ে যাবে।
রিজভী বলেন, দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞদের কথাবার্তা কিছুই মনে করেন না তারা। তারা প্রধানমন্ত্রীকে বড় চিকিৎসক মনে করেন। ওবায়দুল কাদের মনে করেন তিনি বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সার্জন। আর হাছান মাহমুদ মনে করেন তিনি হলেন গ্যাস্ট্রো এন্ট্রোলজির একজন বিখ্যাত চিকিৎসক। একজন মুমুর্ষু রোগির (খালেদা জিয়) বিষয়ে তার ডাক্তারার সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন। কিন্তু হাছান মাহমুদ তার উল্টোটা বলছেন। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তথ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তাচ্ছিল্য করে উত্তর দেন যে, খালেদা জিয়ার পেটে ব্যথা বা হাঁটু ব্যথার উপর নির্ভর করে কি দেশের সূচক তৈরি হবে?
প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন। এ্যাবের সেক্রেটারি প্রকৌশলী আলমগীর হাসিন আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম ভুঁইয়া, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, প্রকৌশলী আব্দুল হালিম পাটোয়ারী, প্রকৌশলী মিয়া মো. কাইয়ুম, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, রিয়াজ উদ্দিন ভুঁইয়া, প্রকৌশলী আসিফ হোসেন রচি প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন