শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বৈরি আবহাওয়ায় দুবলার চরে শুঁটকি পল্লীতে বিষাদের ছায়া

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:৩৪ পিএম

গত ৫ নভেম্বর থেকে সুন্দরবনের দুবলার চরে শুরু হয়েছে শুঁটকি মৌসুম। শুঁটকি মৌসুমে প্রায় ২০ হাজার জেলে জড়ো হন দুবলার চর ও আশেপাশের ১৪ টি চরে। পুরোদমে যখন মাছ আহরণ ও শুঁটকি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে, ঠিক সেই সময়ে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা দু দিন বৃষ্টিতে পুরো চর জুড়ে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। একদিকে মাছ ধরা বন্ধ, অন্যদিকে শুকানোর কাজও বন্ধ। দুইয়ে মিলে শুরুতেই বড় একটি ধাক্কা এলো শুঁটকি ব্যবসায়। এ ক্ষতি পোষানো কষ্টকর হবে শুঁটকি ব্যবসায়ি সংশ্লিষ্টদের।
বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশে দূর্যোগের মৌসুম। আবার শীতের প্রারম্ভে নভেম্বরে শুরু হয় শুঁটকি তৈরির কাজ। ঝুঁকি নিয়েই জেলে-বহদ্দারেরা শুঁটকি ব্যবসায় নামেন। গত শনিবার সকাল থেকে উপকূলে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল থাকায় শনিবার রাত থেকে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। রোববারও মাছ ধরা হয়নি। এমন আবহাওয়া অবস্থা মঙ্গলবার পর্যন্ত বিরাজ করবে। ফলে প্রায় ৪ দিন মাছ ধরা বন্ধ, মাছ শুকানোও বন্ধ। চিন্তার রেখা দেখা দিয়েছে জেলে, অর্থ লগ্নিকারী ও শুঁটকি ব্যবসায়ীদের মাঝে।
দুবলার চরের শুঁটকি ব্যবসায়ী আমির হোসেন জানান, দুবলার চরে লইট্যা, রুপচাঁদা, খলিসা, ছুরি, ভেদা, পোয়া, দাইতনা,চিংড়িসহ অন্তত একশ’ প্রজাতির মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। রৌদ্র না থাকলে মাছ শুকানো যায় না। ৩/৪ দিন মাছ না শুকিয়ে রাখাও কঠিন। তাছাড়া মাছ ধরতে না পারলেও লোকসান।
স্থানীয় শুঁটকি বিক্রেতা সমিতির নেতা হাফিজুর রহমান জানান, সাগরপাড়ের দুবলা, মেহের আলী, আলোরকোল, অফিস কিল্লা, মাঝির কিল্লা, শেলার চর, নারকেল বাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া, বড় আমবাড়িয়া, মানিক খালী, কবরখালী ও চাপড়া খালীস, কোকিলমনিসহ ১৪ টি চরে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণের কাজ হয়। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী-মার্চ পর্যন্ত ৪/৫ মাস কাজ চলে। এরপর সারা বছর বন্ধ থাকে। এই কয়েক মাসের প্রতিটি দিন আমাদের জন্য খুবই গৃরৃত্বপূর্ণ। একটা দিন হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকা মানেই লাখ লাখ টাকার ক্ষতি। প্লোরাকৃতিক দুর্যোগের লোকসান কাটাতে সরকারিভাবে কোনো সহায়তা দেয়া হয় না। তাই আমরা এবার খুব চিন্তায় আছি। তিনি আরো জানান, প্রতিবছর শুঁটকি মৌসুমে চরে গোলপাতা দিয়ে কয়েকশ’ ঘর তৈরি করা হয়। সামান্য ঝড় বাতাসে তা হেলে পড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেলেরা শুঁটকি তৈরি করে। তাই সরকারের উচিৎ শুঁটকি খাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন