নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ ফেনীতে নেয়ার সময় লাপাত্তা হওয়া ৫ লাখ টাকা মূল্যের ২৪২ বস্তা চাল উদ্ধারসহ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে। আটকরা হলো পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের জনাব আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম ও আটঘরিয়া উপজেলার কুমারেশ্বর গ্রামের ছইমুদ্দিন প্রামানিকের ছেলে শাহাজান আলী প্রামানিক।
গতকাল রোববার দুপুরে থানা প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দিন মাহমুদ এ তথ্য জানান। ওসি বলেন, গত ১ ডিসেম্বর দুপুরে মহাদেবপুর উপজেলার আখেড়া এলাকার ওসমান এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গোডাউন থেকে আদিব ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক আবু নাসিম মশিউর রহমান বকুল একটি কাভার্ডভ্যানে ২৮০ বস্তা পাইজাম চাল ফেনী জেলার ইসলামপুর রোডের মেসার্স এবি সিদ্দিকী ট্রেডার্সের নামে পাঠান। কিন্তু সে চাল আর ফেনীতে পৌঁছেনি। ঘটনার পর থেকে ওই কাভার্ডভ্যানের চালক ও মালিকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার ২ দিন পর পাবনার একজন চাল ব্যবসায়ী মোবাইল ফোনে বকুলকে জানান যে, তার প্রতিষ্ঠানের নাম ও মোবাইল নম্বর খোদাই করা বস্তায় ভরা চাল তিনি কিনেছেন। তিনি আরো চাল কিনতে চান।
বকুল এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে মহাদেবপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ও এসআই আবু রায়হান সরদার গত শনিবার অভিযান চালিয়ে পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বাহাদুরপুর বাজার থেকে লাপাত্তা হওয়া চালের মধ্যে ২৪২ বস্তা উদ্ধার করেন ও ওই দুইজনকে আটক করে মহাদেবপুর নিয়ে আসেন।
মামলার বাদী বকুল জানান, তিনি নওগাঁ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের মহাদেবপুর শাখার মাধ্যমে কাভার্ডভ্যানটি ভাড়া নেন। এর চালক ছিলেন ঢাকার সাভার এলাকার মৃত আনসার আলী শেখের ছেলে মো. ছালাম হোসেন। পরে জানা যায় এর রেজিস্ট্রেশন নং ভূয়া। চালকের ঠিকানাও সঠিক নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন