পাকিস্তান ও ভারত আবারও একে অপরের কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের ভিসা দেয়া শুরু করেছে। গত ৫ আগস্ট ২০১৯ থেকে এই ভিষা দেয়া বন্ধ ছিল। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের আধা-স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। যার জেরে পাকিস্তানে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে।
সূত্র মারফত জানা গেছে, অক্টোবর পর্যন্ত জমা দেয়া আবেদনের ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে ভিসা দেয়া শুরু হয়েছে। ভারত ২০ জন পাকিস্তানি কূটনীতিক ও কর্মকর্তাকে ভিসা দিয়েছে, যেখানে পাকিস্তান তাদের ছয়জনকে ভিসা দিয়েছে। গত আগস্টে, ইসলামাবাদ এবং নয়াদিল্লি প্রায় ২৮ মাসের ব্যবধানের পরে একে অপরের কূটনীতিকদের অ্যাসাইনমেন্ট ভিসা জারি করেছিল কারণ উভয় পক্ষই ২০১৯ সাল থেকে সম্পর্কে জমে থাকা বরফ গলানোর চেষ্টা করছিল।
পাকিস্তান ইতিমধ্যে ৩৩ জন ভারতীয় কর্মকর্তাকে ভিসা দিয়েছে, যখন সাতজন পাকিস্তানি কূটনীতিক ভারত থেকে অ্যাসাইনমেন্ট ভিসা পেয়েছে। দুই দেশ একে অপরের কূটনীতিকদের আরও ভিসা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য যে, বিশ্বের প্রায় সব দেশই অন্যান্য দেশের কূটনীতিক এবং দূতাবাসের কর্মীদের অ্যাসাইনমেন্ট ভিসা প্রদান করে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে, দুই দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দুবাইতে গোপনে আলোচনা করেন। এটি ছিল কূটনীতির একটি পরোক্ষ চ্যানেল পুনরায় খোলার লক্ষ্যে পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একটি রোডম্যাপ। পরে ফেব্রুয়ারিতে, দুই দেশের সামরিক বাহিনী অপ্রত্যাশিত যৌথ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূত গত এপ্রিলে নিশ্চিত করেছেন যে, উপসাগরীয় দেশটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে যাতে পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিদ্বন্দ্বীদের একটি ‘স্বাস্থ্যকর এবং কার্যকরী’ সম্পর্কে পৌঁছাতে সহায়তা করা হয়। সূত্র: ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন