বগুড়া জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সদ্য গঠিত কমিটি নিয়ে সংগঠনের বর্তমান ও প্রাক্তন নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শুরু হয়েছে বিতর্ক। যে প্রক্রিয়ায় নতুন কমিটির নেতাদের নাম স্থানীয়ভাবে ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রেসরিলিজে তা পাল্টানো হয়েছে, সেটা কোনভাবেই গনতান্ত্রিক হয়নি বলে মন্তব্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের।
জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার একটি বেসরকারি মোটেলের কনফারেন্স রুমে দলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদ্য বিলুপ্ত ৩১ সদস্যের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ফরহাদ আলী খোকন সভাপতিত্ব করেন। তবে ওই কমিটির মাত্র ৬-৭ জন সেখানে উপস্থিত থাকায় সভা সঞ্চালনা করতে হয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুল হক রাজুকে। সম্মেলনে আহসানুল হাবিব রেবুলকে আহ্বায়ক, ইমন কাজীকে সদস্য সচিব ও তাহমিদুল হক প্রতীককে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের আংশিক কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে তাদের পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে পুর্নাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি ৩ মাসের মধ্যে জেলা সম্মেলন করে জেলা কমিটি গঠনের তাগিদ দেয়া হয়।
তবে এরপর জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসরিলিজে ৪ তারিখের ঘোষিত কমিটিতে পরিবর্তন করে পূর্বের সদস্য সচিব ইমন কাজীকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক তাহমিদুল হক প্রতীককে সদস্য সচিব হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর সৃষ্ট বিতর্ক আরোও জোরদার হয়।
বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক ও বগুড়া জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের প্রাক্তন নেতাদের নিয়ে গঠিত ফোরামের আহ্বায়ক স্বপন সরকার বলেন, জাতীয় পার্টি এখন সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। এরকম একটি দলের বগুড়া শাখার ছাত্র সংগঠন নিয়ে অসাংগঠনিক তৎপরতা কাম্য নয়।
সদ্য বিলুপ্ত কমিটির একজন সদস্য বলেন, একটি জেলা ছাত্র সংগঠনের সম্মেলন হল উপজেলা এলাকার বেসরকারি মোটেলের কনফারেন্স রুমে। যাকে আহ্বায়ক করা হল তিনি ছাত্র নন। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার জয়পুরহাট সীমান্তের একটি ইট ভাটার মালিক তিনি। বসবাসও সেখানেই।
তবে সম্মেলন সম্পর্কে প্রাক্তন আহ্বায়ক খোকন কোন মন্তব্য করেননি। তবে জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মারুফ তালুকদার প্রিন্স বলেন, সংগঠনের নতুন আহ্বায়ক ছাত্র না ইটভাটার মালিক সেটা তার জানা নেই। তবে তিনি বিগত কমিটির সদস্য। সে কারণেই তাকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন