রাজশাহীতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করতে ওঠেন কর্মী রেজাউল ইসলাম রেজা (৪৭)। তিনি ওপরে থাকতেই লাইনে বিদ্যুৎ চলে আসে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রেজাউল ওপরের লাইন থেকে নিচে ১১ কেভি লাইনের ওপর পড়েন। তারপর সেখান থেকে নিচে দাঁড়ানো একজন কর্মীর ওপর পড়েন। এতে তিনিও আহত হন।
গত রোববার দুপুরে রাজশাহী নগরের পাঠানপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। দগ্ধ রেজাউলকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরের পরামর্শ দেয় চিকিৎসকরা।
বিকেলে ঢাকায় নেয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিরাজগঞ্জ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সকালে মারা যান। নেসকোর সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার শিরিন ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান, নেসকোর চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শিরিন বলেন, ঢাকায় নেয়ার পথে নাটোরের বনপাড়া গিয়ে নাক দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে। সেখানে প্রায় ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করতে হয়। এরপর আবার রওনা হলে সিরাজগঞ্জ গিয়ে একই অবস্থা হয়। এ অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জ মেডিকেল ভর্তি করা হয়েছিল। রেজাউল নেসকোতে টেকনিক্যাল স্টাফ হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বাড়ি রাজশাহী মহানগরের চন্দ্রিমা থানার মুসরইল। তবে তিনি নগরের উপশহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎকর্মী রেজাউল রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম ঈদগাঁওয়ের পাশে ৩৩ কেভি লাইনে কাজ করছিলেন। হঠাৎ লাইনটিতে বিদ্যুৎ চলে আসে। সঙ্গে সঙ্গে রেজাউল সেখান থেকে ১১ কেভি লাইনে পড়েন। এরপর নিচে মামুন নামের একজন কর্মীর ওপর পড়ে যান।
বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন দ্রুত তাকে পিকআপ ভ্যানে করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী অনিত রায় বলেন, ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিই দেখবে লাইন বন্ধ করা হয়েছিল, নাকি হঠাৎ চালু হয়ে গেছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন