সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তাকিম আহমদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক আঘাত রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাত ৮টায় উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে। এ ঘটনায় আহতের পিতা বাদী হয়ে পরদিন ছাতক থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের একদিনের মধ্যে তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, মালয়েশিয়া ফেরত আহত মোস্তাকিম আহমদ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতো। যাদের সাথে সে রাজনীতি করতো আর করবে না বলে ৭ মাস পূর্বে তাদেরকে জানায়। এরপর থেকে তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল তারা। পরে তাদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন মোস্তাকিম। গত ৪ ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থেকে পার্শ্ববর্তী ব্রাক্ষণগাঁও তকিপুর নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে আনোয়ারা কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছা মাত্র মোস্তাকিমের উপর হামলা চালানো হয়। এলোপাথারি মারধরে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্বক আহত হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গত রোববার আহত মোস্তাকিমের পিতা আবদুল গফুর বাদী হয়ে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের তকিপুর গ্রামের মৃত আয়বর আলীর ছেলে আবদুল গফফারকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গত রোববার দিবাগত গভীর রাতে ছাতক থানা পুলিশ জাউয়াবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মামলার দুই নম্বর আসামি তকিপুর গ্রামের মদরিছ আলীর ছেলে মুনছুর আহমদ, তিন নম্বর আসামি ও একই গ্রামের এশরাদ মিয়ার ছেলে মাহবুব আহমদ, পাঁচ নম্বর আসামি ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের বানারশিপুর গ্রামের মমশ্বির আলীর ছেলে শাহান উদ্দিন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুহিন উদ্দিন বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচজনের মধ্যে তিন আসামিকে গত রোববার গভীর রাতে জাউয়াবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য দুই আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন