শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের প্রবেশদ্বার : স্পিকার

প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সংসদের স্পীকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গ্রামীণ শিশুদের পরিমিত পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহŸান জানান শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের প্রবেশদ্বার। এ সময় তিনি বাংলাদেশে স্বতন্ত্র পেডিয়াট্রিক ফ্যাকাল্টি ঘোষণার আহŸান জানান।
গতকাল (শনিবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশন (বিপিএ) কর্তৃক আয়োজিত ১৯তম দ্বিবার্ষিক এবং ৪র্থ আন্তর্জাতিক শিশু বিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহŸান জানান। স্পীকার বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৪ ও ৫ নং সূচকে শিশু ও মাতৃমৃত্যুরোধে বাংলাদেশের অর্জন বিস্ময়কর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এ অনন্য অর্জনের জন্য জাতিসংঘ থেকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হবে।
স্পীকার বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে গর্ভবতী মায়েদের পরিচর্যা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তিনি স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায় এমন ধরনের পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে জনপ্রতিনিধি ও চিকিৎসকদের প্রতি আহŸান জানান। সরকার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কমিউনিটি ক্লিনিক, ইপিআই কর্মসূচি, আইএমসিআই কর্মসূচির বিবরণ দিয়ে বলেন, সেবা প্রত্যাশীদের চাহিদানুসারে সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো নিবিড়ভাবে কাজ করায় এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন. নবজাত শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন এবং এর ফলে দেশ ও বিদেশে শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটবে।
প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ শহিদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএসএমএমইউ-এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ কামরুল হাসান খান, সেভ দ্যা চিলড্রেনের জয় রিগস পার্লা, প্রফেসর ডাঃ হামিদুর রহমান, প্রফেসর ডাঃ ইয়াকুব জামাল এবং প্রফেসর ডাঃ এম এ কে আজাদ চৌধুরী বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য প্রফেসর এম আর খান এবং প্রফেসর এম কিউ কে তালুকদারকে বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশন ( বিপিএ) -এর পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং শিশু স্বাস্থ্যসহ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে তাঁদের অবদানের প্রশংসা করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন