স্টাফ রিপোর্টার : কবি ফররুখ আহমদ ছিলেন নির্যাতিত মানবতার মুক্তির কবি। এই মুক্তির সন্ধান তিনি পেয়েছিলেন সাম্য-ভ্রাতৃত্বের আদর্শ ইসলামের মধ্যে। প্রথম জীবনে কমিউনিজমের আদর্শে বিশ্বাসী এই কবি পরবর্তীকালে ইসলামের মধ্যেই প্রকৃত সাম্য-ভ্রাতৃত্বের সন্ধান পান।
গতকাল শনিবার ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের স্থপতি সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে জাতীয় নবজাগরণের কবি ফররুখ আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় ঐতিহ্যের কবি ফররুখ আহমদ শীর্ষক আলোচনা সভা, হামদ না’ত ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, চল্লিশের দশকে কলকাতায় যে ক’জন শক্তিমান কবির আবির্ভাব ঘটেছিল ফররুখ আহমদ ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান কবি। তার কাক্য প্রতিভা শুধু কলকাতা নয়, পরবর্তীতে এ দেশেও বিপুলভাবে খ্যাতি ও দীপ্তি লাভ করে।
বক্তারা বলেন, জাতীয় জাগরণে তার ভ‚মিকা অনস্বীকার্য। কবিদের সাধারণত সাহিত্যজীবন আর ব্যক্তিজীবনের সাথে অনেক ক্ষেত্রে মিল থাকে না। কিন্তু তিনি ছিলেন অন্যদের থেকে ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিত্ব।
বক্তারা আরো বলেন, আদর্শের জায়গা থেকে তাকে শত লোভনীয় প্রস্তাবেও কেউ কোনোদিন বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি। বাংলা কাব্যের বিভিন্ন শাখাতেই তার সচ্ছন্দ পদচারণা ছিল। গীতিকবিতা, ছড়া ছাড়াও কাব্যনাট্য, সনেট, ব্যাঙ্গকবিতা, গদ্যকবিতা, শিশুতোষ কবিতায় তিনি অসামান্য সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। তার লেখা সাহিত্যের বিভিন্ন অংশের অসামান্য অবদান এদেশের সাহিত্যাকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় জ্বলজ্বল করবে।
বিশিষ্ট গবেষক ম. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মুহাম্মদ তাওহীদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক আবদুল গফুর। অলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ সিদ্দিক, ড. ঈসা শাহেদী, অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ুম, অ্যাডভোকেট কে এম আশরাফ, আবদুল মুকীত চৌধুরী, কাজী রিয়াজুল ইসলাম, কবিপুত্র এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, শাহাবুদ্দিন খান, এরতাজ আলম, কবি শাহ সিদ্দিক প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন