শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মানুষ ও বন্যহাতির যুদ্ধ নিরসনে জনসচেতনতামূলক সভা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কে ময়মনসিংহ বন বিভাগের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বন সংরক্ষক কেন্দ্রীয় অঞ্চল ঢাকা আরএসএম. মুনিরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ,কে,এম. রুহুল আমীন।
আরো বক্তব্য রাখেন নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এএসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেস নাইম, শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম, নালিতাবাড়ীর ইউএনও হেলেনা পারভীন, ঝিনাইগাতীর ওসি মো. ফায়েজুর রহমান শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ও ইআরটি সদস্য ইমতিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বন্য হাতির সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার হাতি চলাচলের এলাকাকে বন্যহাতির অভয়াশ্রম করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। কোনো অবস্থাতেই বন্যহাতিকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মারা যাবে না। যদি কেউ এমন কাজ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া বন্য হাতির আক্রমণে নিহত পরিবারকে ৩ লাখ, আহতকে ১ লাখ ও ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথাও জানানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষকে জানালে তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন বক্তাগণ।
ঝিনাইগাতীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদ, শ্রীবরদীর ইউএনও নিলুফা আক্তার, ঝিনাইগাতীর ওসি ফায়েজুর রহমান, নালিতাবাড়ীর ওসি বছির আহমেদ বাদল, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম, ইআরটি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি মোস্তফা কামাল ৩২ জন উপকারভোগীর মাঝে সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশের ১ কোটি ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬২ টাকার চেক, ইলিফেন্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ ও গত এপ্রিল মাসে বন্য হাতির আক্রমণে নিহত অপূর্ব চাম্বুগং এর পরিবারের সদস্যের মাঝে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩ লাখ টাকার চেক প্রদাণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন