শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

তিতাস নদী দখলদারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

তিতাস নদী দখলকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে অবৈধ দখল, দূষণরোধ এবং সীমানা নির্ধারণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে। বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ ও রুল জারি করেন। ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়নের বোর্ডের মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলার পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশের এ তথ্য জানান অ্যাডভোকেট একিউএম হোসেল রানা। তিনি বলেন, তিতাস নদী দখল নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়। এ ধারাবাহিকতায় দায়ের করা হয় এ রিট। রিটে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘ডুবোচর আবর্জনায় জীর্নশীর্ণ তিতাস’ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবেষ্টিত হয়ে আছে তিতাস নদী। এ নদীকে কেন্দ্র করে শহরের অন্যতম বৃহৎ হাট আনন্দবাজার ও জগৎবাজার গড়ে ওঠে। এ নদীর ডুবোচর ওজগে ওঠা, দখল আর আবর্জনায় নাব্যতা হারিয়ে তিতাস এখন জীর্ণশীর্ণ খালে পরিণত হয়েছে। পলি জমে গত দুই দশকে তিতাসের তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একসময় লঞ্চের শব্দ আর বড় বড় পালতোলা নৌকার মাঝি-মাল্লাদের ভাটিয়ালী গানের সুরে ঘুম থেকে জাগতেন তিতাস পাড়ের বাসিন্দারা। তিন দশকের ব্যবধানে এ নদীর তলদেশের ডুবোচর জেগে উঠেছে। এ কারণে খর¯্রােতা নদীটি এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন