নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি সেতুর জন্য চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কৃষকরা। শহরের কোল ঘেঁষা খড়খড়িয়া নদীর একাংশে কুন্দল অংশে সেতু না থাকায় প্রায় ১শ’ একর জমির চাষাবাদ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে সংলগ্ন এলাকার কৃষক। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চলে আসলেও যেন দেখার কেউই নাই।
জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের ১১ নং ওয়ার্ডের কুন্দল মহল¬া ঘেঁষে বয়ে গেছে খড়খড়িয়া নদী। শুষ্ক মৌসুমে নদীটি ক্ষিণ ধারায় বইলেও ভর বর্ষায় এটি ভয়াল রুপ ধারণ করে। নদীর পূর্ব তীরে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সৈয়দপুর শহর রক্ষা বাধ । কিন্তু পশ্চিম তীর বাধ না থাকায় ওই অংশের চাষাবাদে বিড়ম্বনার মুখোমুখী হচ্ছেন কৃষকেরা।
সূত্র জানায়, প্রতি বর্ষায় প¬াবিত হয় খড়খড়িয়া সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর পূর্ব তীরের বাধ ঘেঁষে কুন্দল গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক কৃষকের আবাদি জমি রয়েছে নদীর পশ্চিম তীরে। নদী পার হয়ে ওই জমি চাষাবাদ করতে এলাকার কৃষকদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কারণ নদীর অপর পারে যাওয়ার জন্য কোন সেতু নেই । নদী সাতরে অপর পারে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় জমিগুলো পরিণত হয়েছে এক ফসলি জমিতে।
সূত্র জানায়, বছর দুয়েক আগে এলাকাবাসী নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে একটি বাঁশের সাকো নির্মাণ করেছিল। কুন্দল পূর্বপাড়ার কৃষক মকবুল হোসেন জানান, ২০১৮ সালের বন্যায় বাঁশের সাকোটি ¯্রােতে ভেসে যায়। এ সময় সাকো রক্ষায় গ্রামবাসীরা এগিয়ে এলে বাশেঁর আঘাতে একজনের পা’ ভেঙে যায়। পরে দেড় বছরের চিকিৎসায় প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে ওই কৃষকের । সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ বলেন, এলাকার কৃষি উৎপাদনের স্বার্থে অবশ্যই ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণ দরকার।
নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল বলেন, ফসল তুলতে এপারের কৃষকদের দুর্ভোগে কথা শুনেছি। তাই ওই স্থনে সেতু নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী। এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন