রাউজান গর্জনিয়া রহমানিয়া সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদারাসার সাবেক প্রিন্সিপাল পীরে আলহাজ আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ আহছান হাবিব বলেন, এক সময় নাস্তিক্যবাদীরা মাদরাসা শিক্ষাকে হেয় প্রতিপন্ন করে সমালোচনা করতো। বর্তমানে তার চিত্র উল্টো। যেমন মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হতে এখন প্রতিযোগিতা চলছে। গত কয়েকদিন আগে দৈনিক ইনকিলাবে দেখলাম একটি পরীক্ষায় সারাদেশের ফার্স্ট হয়েছে এক মাদরাসা ছাত্র। মাদরাসা ছাত্ররা এখন আর পিঁছিয়ে নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা সফলতা অর্জন করছে। সরকার মাদরাসা শিক্ষাসহ শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনেছেন।
তিনি আরো বলেন, একসময় শুধু গরীব ছেলেদের মাদরাসায় ভর্তি করতো এমন সমালোচনা করতো অনেকেই। বর্তমানে বড় বড় শিল্পপতি বিত্তবানরা মাদরাসা শিক্ষায় ঝুঁকেছেন। কেননা মাদরাসা শিক্ষায় যেমন রয়েছে সফলতা অর্জন, তেমনি ইহকাল ও পরকালে শান্তি। তিনি হাতজোড় করে বলেন, আপনারা যারা অভিভাবক আছেন আল্লাহর ওয়াস্তে আপনার ছেলে মেয়েকে মাদরাসায় ভর্তি করে দ্বীনি ইলম অর্জনসহ নানাবিদ জ্ঞান অর্জনের জন্য এগিয়ে আসুন। গতকাল মঙ্গলবার গর্জনিয়া রহমানিয়া সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা হযরত শাহসূফি সৈয়দ আবদুল গফুর মাস্টার শাহ (রহ) ৩৮তম বার্ষিক চাহরম শরিফ উপলক্ষ্যে নূরানী মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নূরানি মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদরাসার প্রভাষক আলহাজ আল্লামা আবুল আসাদমুহাম্মদ যোবায়ের রেযভী, উপাধক্ষ্য আল্লামা সাইদুল আলম খাকী, প্রিন্সিপাল আল্লামা জাহাঙ্গীর আলম রেযভী, আল্লামা রাশেদুল আলম কাদেরী, আলহাজ সৈয়দ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, শাহাজাদা এস এম কমর উদ্দিন, শাহাজাদা এস এম নাসির উদ্দিন, রাজনীতিবিদ এস এম বাবর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন চৌধুরী, আলহাজ মাহবুবুল আলম, প্রিন্সিপাল কৃষিবিদ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক এম বেলাল উদ্দিন ও অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল হুদা প্রমুখ ব্যক্তিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন