স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেছেন, ইসলামী শিক্ষা জীবনকে আলোকিত করে, আর অশিক্ষা ডেকে আনে অন্ধকার। এই অন্ধকার জগতের মানুষ আল্লাহকে অস্বীকার করে, তাঁর প্রেরিত কিতাব ও নবী-রাসূলদের অবিশ্বাস করে এবং তাঁর কোরআনী আইনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। অশিক্ষার কারণেই মানুষ জাহান্নামের পথে এগিয়ে যায়। তিনি বলেন, সরকার প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬ পাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ শিক্ষা আইন এর- ধারা ৫(৪) , ধারা ৭(১), ধারা ৭(২), ধারা ৭(৪) , ধারা ৭(৩), ধারা ৮(২) , ধারা ১০(১) , ধারা (২), ধারা (৩), ধারা ১৩(২), ধারা ১৫(১-৬), ধারা ২০ খ-(২), ধারা খ-(৩), ধারা ৫০(৪) চরম আপত্তিকর ও ইসলামের বিপরীত। অবিলম্বে এসকল আপত্তিকর ধারা উপধারাসমূহ অবশ্যই বাতিল করতে হবে।
ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব বলেন, আমরা শাহ আহমদ শফী দা.বা. এর নের্তৃত্বে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে কওমী মাদরাসার দাওরা হাদিসের সনদের মানের বাস্তবায়ন চাই।
গতকাল শনিবার লালবাগস্থ কার্যালয়ে খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশ আয়োজিত শিক্ষা আইন, কওমী সনদ এবং প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। খেলাফতে ইসলামীর মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিমউদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, খেলাফতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মঞ্জুর মুজিব, মাওলানা ক্বারী নাসিরুদ্দীন প্রমুখ। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন মাওলানা আনছারুল হক ইমরান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন