স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর উত্তরখানে মুন্নি আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর স্বামী রুবেল মিয়া পলাতক। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মুন্নির বাবার নাম আবদুল মোতালেব। গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জের বীরতৈল এলাকায়।
পুলিশ ও মেডিকেল সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার দুপুরে উত্তরখান থানাধীন কাঁচপুর বেপারীপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে মুন্নির লাশ উদ্ধার করা হয়। উত্তরখান থানার এসআই পরিমল চন্দ্র সরকার জানান, নিহতের গলায় কালো দাগ রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্নও রয়েছে।
মুন্নি আক্তারের নানা আবদুল কাদের জানান, প্রায় দুই বছর আগে রুবেলের সঙ্গে বিয়ে হয় মুন্নির। তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই রুবেল যৌতুকের জন্য মুন্নির ওপর নির্যাতন করত। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর রুবেলের অত্যচার সহ্য করতে না পেরে শিশু কন্যাসহ মুন্নি বাপের বাড়ি গাজীপুরে বীরতৈল গ্রামে চলে যায়। ২১ তারিখ রুবেল গিয়ে ক্ষমা চেয়ে মুন্নিকে আবার নিয়ে আসে। উত্তরখানের বাসায় এনেই তাকে আবারও নির্যাতন শুরু করে। তাদের ধারণা, মুন্নিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে গেছে তার স্বামী। আবদুল কাদের আরো জানান, বিয়ের আগে রুবেল নিজেকে এয়ারপোর্টে চাকরি করে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু পরে জানা গেছে, রুবেল বেকার ও নেশাগ্রস্ত। তিনি একজন বড় ধরনের প্রতারকও। এ ঘটনায় উত্তরখান থানায় মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন