গত সপ্তাহে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে সামান্য অগ্রগতি হওয়ার পর ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে নতুন করে পরোক্ষভাবে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে থেকে।
এতে বলা হয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কূটনীতিকে আরো একটি সুযোগ দিতে চান। সে জন্য ভিয়েনায় আলোচনায় পরোক্ষভাবে ইরানের সাথে যুক্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার সাংবাদিকদের এ বিষয়টি জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস। তিনি বলেছেন, সপ্তাহান্তে আলোচনায় যুক্ত হতে পারেন ইরান বিষয়ক বাইডেন প্রশাসনের বিশেষ দূত রবার্ট ম্যালি এবং তার প্রতিনিধিরা।
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরাও নিশ্চিত করেছেন যে, গত শুক্রবার সপ্তম দফার আলোচনা স্থগিত থাকলেও আজ বৃহস্পতিবার এ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত হবে। ইরানের রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম এই আলোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি সম্পাদন করেন।
এর নাম দেয়া হয় জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্লান অব অ্যাকশন। ইরানের ওপর আরোপিত অবরোধ শিথিল করা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতায় আসার পরই ২০১৮ সালে একতরফাভাবে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। একই সাথে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নতুন অবরোধ আরোপ করতে থাকেন।
কিন্তু ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দেন তিনি নির্বাচিত হলে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করবেন। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন এবং এই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ শুরু করেছেন। তারই অংশ হিসেবে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ আলোচনা চলছে। এনিয়ে গত সপ্তাহে যে আলোচনা হয়েছে তাতে ইরানের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন