সেন্টমার্টিন বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে চার স্কুলছাত্রের। অপহৃত চার স্কুলছাত্র হলো- রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলা পাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ কায়সার, একই এলাকার মোহাম্মদ আলমের ছেলে মিজানুর রহমান নয়ন, আব্দুস সালামের ছেলে জাহেদুল ইসলাম ও ফরিদুল আলমের ছেলে মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি ও বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে।
রামু থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় ওই চার স্কুলছাত্রের। সেই সুবাধে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম চার স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যায়।
জানা গেছে, ইব্রাহীম ও জাহাঙ্গীর দুইজনই রোহিঙ্গা নাগরিক। সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না। পরের দিন দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। তা না হলে তাদের লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের মোহাম্মদ কাছিমের ছেলে ও তার সহযোগী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের বাড়িও সেখানে। তারা দুইজনই বাতিঘর কটেজের বয় হিসেবে কর্মরত ছিল।
স্কুলছাত্র জাহেদুল ইসলামের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে গেছে ওই দুইজন। যাওয়ার পর থেকে যখন বাড়ি ফিরছে না খোঁজখবর নিতে ফোন দিলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীমের মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রামু থানা পুলিশ বলছে যেহেতু বিষয়টি টেকনাফ থানায় তাই তাদেরকে সেখানে অভিযোগ দিতে বলেছেন। পাশাপাশি তারাও তাদের অবস্থান থেকে চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন