শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:০০ এএম

আজ ১০ ডিসেম্বর, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘বৈষম্য ঘোচাও, সাম্য বাড়াও মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও’। ১৯৫০ সালে এই দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। সেই থেকে বিশ্বজুড়ে এ দিনটি পালিত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, আমরা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে পূর্বের বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলাম। ১৯৯৮ সালে এ সংক্রান্ত একটি কমিশন গঠনের জন্য খসড়া আইন প্রস্তুত করেছিলাম। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করি এবং সে অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করি। সরকার ইতোমধ্যে কমিশনকে শক্তিশালী করতে কমিশনের জনবল ও বাজেট বরাদ্দ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে কমিশনকে আধুনিকায়ন করা ও কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্ষমতা এবং সুযোগ সুবিধা বাড়ানোসহ সকল ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ কমিশন দেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্য সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। আমরা মিয়ানমারে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাসহ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে বিশ্ব স¤প্রদায়কে সস্পৃক্ত করে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বাণীতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনে ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মানবাধিকার বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করায় কমিশনকেও অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো কার্যকর ভ‚মিকা রাখার আহবান জানান তিনি।

পৃথক এক বাণীতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘মানবাধিকার দিবস ২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমতার সমাজ গঠনের এখনই সময়। এ প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বৈষম্য ঘোচাও সাম্য বাড়াও মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন