মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন অ্যাপস তৈরি করতে আইসিটি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। যার ফলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সর্ম্পকে জানতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিয়ষক মন্ত্রী আ হ ম মোজাম্মেল হক। তিনি শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাদারীপুর মুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে সদর উপজেলার সমাদ্দার এলাকায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, ঠিকানা খোদাই করে টাঙিয়ে দেয়া হবে। একইভাবে প্রত্যেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লে ওই উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা লেখা থাকবে। এটা নিয়ে যেন কোন বিভ্রান্তি না থাকে।’
মন্ত্রী এসময় আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন নাম-পরিচয় দেয়া হবে, তেমনটি ৭১’ সালের রাজাকার, আল-বদর, আল শাসমদেরও নামের তালিকা টাঙিয়ে দেয়া হবে। যেন আগামী প্রজন্ম তাদের কু-কৃর্তির কথা জানতে পারে। এতে তারাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, তারা কোন পথে চলবে।’ একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। এসময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, খলিল বাহিনীর প্রধান বীরমুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খান প্রমুখ।
১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর খলিল বাহিনীর ৩ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মধ্যে মাদারীপুরের সমাদ্দার নামক স্থানে টানা ৩৬ ঘন্টা সম্মুখযুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এক মেজর ও ক্যাপ্টেনসহ ৩৯ জন হানাদার সদস্য মাদারীপুরের খলিল বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করার মধ্য দিয়ে মাদারীপুর শত্রæ মুক্ত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাদ্দারের সম্মুখযুদ্ধে মাদারীপুরের সর্বকনিষ্ঠ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার হোসেন বাচ্চুর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে পলাশী থেকে ধানমন্ডি শিরনামে একটি মনুমেন্ট কাজের উদ্বোধন করে লেকের পাড়ে ¯স্বাধীনতা মঞ্চে এক আলোচনা সভায় যোগদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন