দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আলোচিত অজ্ঞাত রোগে গরু মারা যাওয়ার ঘটনায় প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের চার সদস্যের অনুসন্ধানী দল ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। অপরদিকে গরু মৃত্যুর ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে উপজেলার বাসুদেবপুর এবং মহেশপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় বাসুদেবপুর গ্রামে তারা এই বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কৃষক আবুল কালাম আজাদ, বাদশা হোসেন সরকার, সুলতান মাহমুদসহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। বক্তারা বলেন, গবাদি পশুগুলো হঠাৎ করে এই এলাকার ঘাস ও খড় খেয়ে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০-৪০টি গবাদি পশু মারা গেছে। অনেকের গরু অসুস্থ হওয়ায় অল্প দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এখন এই এলাকার অধিকাংশ কৃষকের গোয়াল প্রায় গরুশূন্য। সদ্য তোলা ধানের যে খড়গুলো রয়েছে সেগুলোও খাওয়াতে পারছে না, বিক্রিও করতে পারছে না। এদিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. দেবাষীশ দাশ সাক্ষরিত গবাদিপশুর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়সহ এ রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও সুপারিশ প্রণয়নের জন্য প্রাণি সম্পদ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে চার সদস্যের একটি রোগ অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। গঠিত টিমকে আক্রান্ত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আহব্বায়ক ডা. মো. গোলাম আজম চৌধুরী (পিএসও) এর ৪ সদস্যের অনুসন্ধানী টিম গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রাম ও পাকড়ডাঙ্গা নামক স্থানের পরিত্যাক্ত ব্যাটারী কারখানা এবং বেতদিঘি ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রাম পরিদর্শন করে এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন। সেই সাথে তারা ওই এলাকার ঘাস, খড়সহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন।
জানতে চাইলে অনুসন্ধানী দলের আহব্বায়ক ডা. মো. গোলাম আজম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করছি, ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলছি এবং ব্যাটারী কারখানা থেকে ছড়ানো বর্জসহ আশপাশের জমির ঘাস, খড়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। অনুসন্ধান কাজ শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন