কিশোরগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের উলামা মাশায়েখদের নিয়ে কিশোরগঞ্জের আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদরাসায় রোববার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামিয়ার মহাপরিচালক মাও. আজহার আলী আনোয়ার শাহের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বেফাকের সদস্য মাও. মুসলেহ উদ্দিন রাজু, মাও. মুফতি আহমেদ আলী, মাও. শওকত হোসেন, মাও. সিদ্দিকুর রহমান, মাও. মশিউর রহমান, মাও. উবায়দুল্লাহ, আনোয়ার, মাও. ইবাদুর রহমান খান, মাও. আবুল বাশার প্রমুখ। সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই দারুল উলুম দেওবন্দের সনদ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ও গৃহীত ছিল। যা ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বলবত ছিল। এ সুবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের মরহুম খতিব মাও. আব্দুল হক সাহেবসহ অনেক ফাযিলে দেওবন্দ বহুকাল পর্যন্ত মাদরাসায়ে আলিয়া ঢাকাসহ দেশের অনেক মাদরাসার উচ্চ পদে কর্মরত ছিলেন। সম্মেলনে সরকারের কাছে তিনটি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। প্রথমটি হলো কওমী মাদরাসার স্বকীয়তা ও স্বাধীনতা রক্ষা করে সরকার স্বীকৃতি প্রদান করলে তা গ্রহণ করা হোক। সুতরাং সরকারি প্রজ্ঞাপনে জারিকৃত বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়াটি প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ যথা সময়ে সরকারের নিকট পেশ করার জন্য ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল গঠিত ১৭ সদস্যের কমিশনকে অদ্যকার সম্মেলনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা গেল। দ্বিতীয় দাবি হলো বেফাকের মজলিসে আমেলার গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে দলীয় রাজনৈতিক সক্রিয় নেত্রীবৃন্দ থাকায় বেফাক তাদের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং বেফাকে বিভিন্ন অনিয়ম চলছে। তাই বেফাকের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদর ও নাযেমে উমুমীর মতো নায়েবে সদর এর পদের জন্যও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে অযোগ্য বিবেচিত করতে হবে। তৃতীয়ত যথাশীঘ্র বেফাকের মজলিশে উমুমীর সভা ডেকে বেফাকের গঠনতন্ত্র সংশোধনী আনা এবং রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে গঠিত বর্তমান মজলিশে আমেলা পুন:গঠন করে সংশোধিত গঠনতন্ত্র মোতাবেক সভাপতি, মহাসচিব পদের ন্যায় সহসভাপতি পদসমূহেও অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সম্মানিত সভাপতি বরাবর সবিনয় অনুরোধ জ্ঞাপন করা হলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন