মো: আকতারুজ্জামান চৌদ্দগ্রাম থেকে : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গ্রামীণ পাকা সড়কগুলোতে যত্রতত্র অবৈধ ও অপ্রয়োজনীয় গতিরোধকের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ বাজারের সাথে সংযুক্ত সড়কসহ বিভিন্ন শাখা সড়কগুলোতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব গতিরোধক নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দুর্ঘটনাসহ নানারকম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও মানুষকে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার লাটিমী-আলকরা, পদুয়া-গুণবতী, গাংরা-গুণবতী, ফকিরবাজার-চৌধুরীবাজার, নারানকরা-চৌধুরীবাজার, চিওড়া-ঢালুয়া, ধোড়করা-কনকাপৈত, আমজাদের বাজার-কনকাপৈত, বাতিসা-সোনাপুর, আটগ্রাম-শরীফপুর, চৌদ্দগ্রাম-বাঙ্গড্ডা, উপজেলা-খিরণশাল, নবগ্রাম-মুন্সিরহাট, হাড়িসর্দার-মুন্সিরহাট, ছুপুয়া-কাদৈর বাজার, মিয়াবাজার-কাশিনগর, আলকরা-কাশিনগর সড়কে যত্রতত্র গতিরোধক নির্মাণ করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। নিজেদের ব্যবসায়িক ও অন্যান্য স্বার্থে অবৈধ-অপ্রয়োজনীয় গতিরোধকগুলো দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। ঘন ঘন স্পিডব্রেকার (গতিরোধক) থাকায় অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক গতিরোধেকে নিচু বডির কার বা ক্যাবগুলোর নিচের বাম্পার আটকে যায়। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছা সম্ভব হয় না। গাড়ির যন্ত্রাংশও নষ্ট হয়। প্রত্যেকটি গতিরোধকের পাশে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও তেমন একটা চোখে পড়ে না। যার ফলে দূর-দূরান্ত থেকে নতুন আসা চালকরা ছোট-বড় দুর্ঘটনাসহ অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির শিকার হয়।
বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে অসুস্থ রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিশেষ করে হার্ট ও প্রেসারের রোগীদের সমস্যা আরো বেশি বেড়ে যায়। তাছাড়া গর্ভবতী মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধদের সীমাহীন কষ্ট হয়।
অভিযোগে জানা গেছে, অপ্রয়োজনীয় গতিরোধকগুলোর কিছু কিছু স্পটে অনেক সময় সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা ছিনতাইয়ের সুযোগ নেয়। স¤প্রতি উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের গুটি মার্কেট থেকে নালঘর সড়কের সংযুক্ত সড়কটির মাঝামাঝি স্থানে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। তিনি জানান, দুইজন অজ্ঞাত লোক মোটরসাইকেল নিয়ে গতিরোধকের পাশে কথা বলছিল। এসময় রিজার্ভ করা একটি সিএনজি অটোরিকশা গতিরোধকের কাছে গতি কমালে হঠাৎ করে অটোরিকশায় থাকা প্রবাসীর স্ত্রীর গলার স্বর্ণের নেকলেসটি ছিনিয়ে নেয় ওই দুই অজ্ঞাত লোক। পরে তারা দ্রæত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
সচেতন মহলের দাবি, যেখানে গতিরোধক আছে, সেখানে সাইনবোর্ড বা সঙ্কেত থাকা জরুরি। নিশ্চয়ই এ নিয়ে সওজের নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন ও ডিজাইন রয়েছে। নিয়ম মেনে গতিরোধক নির্মাণ করা হলে যান ও জনদুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে। প্রয়োজনীয় গতিরোধকগুলোতে নির্দিষ্ট সাইনবোর্ড বা সঙ্কেত স্থাপন ও অপ্রয়োজনীয় গতিরোধকগুলো জরুরি ভিত্তিতে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন