নোয়াখালী ব্যুরো ঃ জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীগণ নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তারা এই কর্মসূচী পালন করে। প্রশিক্ষণার্থীরা অভিযোগ করেন, দলিত, হরিজন, বেদে ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক ৫০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর ৬টি খাত থেকে ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৫ টাকা আত্মসাৎ করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শেখ সহসিন আলী।
তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, দলিত, হরিজন, বেদে ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর ৬৩জন প্রশিক্ষণার্থী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে ২৬ জুন থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ৫০ দিনব্যাপী সেলাই ও বিউটিফিকেশন উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। প্রশিক্ষণকালীন সময়ে কোর্স পরিচালক ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শেখ সহসিন আলী সরকার দেয়া বরাদ্দ হতে প্রশিক্ষণ ভাতার অর্থ, খাবার ও টিফিনের অর্থ এবং প্রশিক্ষণ শেষে উপকরণের সর্বমোট ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৫ টাকা আত্মসাৎ করেন।
আত্মসাতকৃত অর্থের বিবরণে জানা গেছে, হিজড়াদের আপ্যায়ন বাবত জনপ্রতি বরাদ্দ ছিল ২১০ টাকা। যার মধ্যে তারা পেয়েছে ১০০ টাকা। দলিত, হরিজন, বেদে জনগোষ্ঠীর দৈনিক বরাদ্দ ছিল ১৯০ টাকা। এর মধ্যে তারা পেয়েছে ১০০ টাকা। প্রশিক্ষণ উপকরণ সেলাই মেশিন ৪৪টির প্রতিটির জন্য সরকার নির্ধারিত বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার টাকা কিন্তু প্রতিটি ক্রয় করা হয়েছে সাত হাজার টাকা করে। পার্লারের উপকরণ ক্রয় বাবত জনপ্রতি বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার টাকা, কিন্তু ক্রয় করা হয়েছে জনপ্রতি ৮ হাজার টাকা করে। ৬৩ জন প্রশিক্ষণার্থীকে খাবার বাবত ৬ দিন টাকা দেয়া হয়নি। প্রশিক্ষণকালীন সময় প্রতিদিন গড়ে ১৫/২০ জন অনুপস্থিত ছিলো তাদের বরাদ্দের টাকাসহ বিভিন্ন খাত থেকে আত্মসাৎ করা হয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রশিক্ষণার্থীদের সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত বাকী টাকা প্রদান করে শেখ সহসিন আলীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন