শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কমলনগরে শিক্ষকের কান কেটে দেয়ার অভিযোগ।

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪:৫৯ পিএম

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু বকর ছিদ্দিকের কান কেটে দিয়েছেন তার ভায়রাভাই মো. শাহজাহান। এবং পিটিয়ে আহত করা হয়েছে তার দুই ছেলে ডা. দাউদ সিদ্দিকি ও ডা. মাসুদ সিদ্দিকিকে। তাদেরকে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মাষ্টার আবু বকর ছিদ্দিক তোরাবগঞ্জ বাজারে তাদের ওয়ারিশী সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ করছিলেন। এ সময় তার আপন ভায়রাভাই শাহজাহান ও তার ছেলে মো. রাকিব হোসেন অতর্কিত বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যায়। ওই সময় শাহজাহান দা দিয়ে আবু বকর ছিদ্দিককে কোপ দিলে তাঁর বাম কান ছিড়ে যায়। বাবাকে উদ্ধার করতে ছেলে দাউদ ও মাসুদ এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয় তাদের উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডা. দাউদ ছিদ্দিকি বলেন, স্থানীয় তোরাবগঞ্জ বাজারে আমাদের নানার ওয়ারিশী সম্পত্তিতে আমারা দোকানঘর নির্মাণ করেতে করতে গেলে আমার খালু শাহজাহান ও খালতো ভাই রাকিবসহ কয়েকজন মিলে অতর্কিত আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে দা দিয়ে কোপ দিলে আমার বাবার কান ছিড়ে যায়। ওই সময় তারা আমার ভাই মাসুদ ও আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে শাহজাহানের ছেলে মো, রাকিব হোসেন দাবি করে বলেন, আমাদের ওয়ারিশী জমিতে দীর্ঘ দিন থেকে দোকানঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করে আবু বকর ছিদ্দিক। এতে তারা আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত স্থিতিয়াবস্থায় বজায় রাখতে ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। তারা সোমবার ১৪৪ধারা ভঙ্গ করে দোকানঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করলে আমরা বাঁধা দেই। এতে দাউদ তার ভাই মাসুদ মোটরসাইকেলের চাবি দিয়ে আমার বাবার চোখ নষ্ট করে দেয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমি আমার বাবাকে নিয়ে ঢাকা যাচ্ছি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন