স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৫ জন মাদক ব্যবসায়ী এবং ৪ ছিনতাইকারিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ৭৩৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২৫৫ পুরিয়া হেরোইন, ২ কেজি ২৭০ গ্রাম গাঁজা, ৬৫ পিস ইনজেকশন ও ১৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উত্তরা পশ্চিম এলাকা থেকে ছিনতাইকারী চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলো কামাল হোসেন (৩০), হিরন মিয়া ওরফে হিরু (৩৫), আলাল (৩৮) এবং কামরুল ইসলাম ওরফে হান্নান (৩৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ২টি চাপাতি এবং ছিনতাই করা ১৯টি মোবাইল, ১টি ক্যামেরা ও নগদ ৮৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। মাসুদুর রহমান আরো জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় শাহ মকদুম এভিনিউ উত্তরা বাজার এলাকায় মুন্না আলম নামের এক ব্যক্তির গতিরোধ করে ছিনতাই করার সময় তাদেরকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মাস্টার দেলু বাহিনীর সঙ্গে ডিবি পুলিশের আবারো গুলিবিনিময়
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত দুর্ধর্ষ ডাকাত দেলোয়ার হোসেন ওরফে মাস্টার দেলু বাহিনীর সঙ্গে ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের আবারও গোলাগুলির ঘটনায় আনিস নামে এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। শনিবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় ফতুল্লার তল্লা পাঠাগারের সামনে প্রায় ২০ মিনিটের ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় ঘটে। পরে ডিবি পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেলুর একজন সহযোগি আনিসকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও ইয়াবা। তবে এদিনও পালিয়ে গেছে দেলু। ফলে বিষয়টি বেশ রহস্যের সৃষ্টি করেছে।
নারায়ণগঞ্জ ডিবির ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় তল্লা পাঠাগারের সামনে অভিযান চলায় ডিবির একাধিক টিম। ওই অভিযানে ছিলেন এসআই সেলিম মিয়া, আসাদুজ্জামান, মফিজুল, মনিরুজ্জামান ও নজরুল। ডিবি সদস্যদের উপস্থিতি টেরে পেয়ে সেখানে থাকা দেলু ও তার সহযোগিরা মিলে গুলি ছুঁড়তে থাকে। ডিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় ঘটে। পরে দেলু পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ঘটনাস্থল থেকে দেলুর সহযোগী আনিস (৩৫) নামের এক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। সে ওই এলাকার মোশাররফ মিয়ার ছেলে। তার কাছ থেকে ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের একটি পিস্তল ও ১২শ’ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাম পায়ে গুলি লাগলে আহত অবস্থায় শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন