সীতাকুন্ডে এক সংবাদপত্র এজেন্টকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে তার পরিবারও আতঙ্কে রয়েছে। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, গত রোববার সকাল ৭টায় তার সংবাদপত্র বিক্রির অফিস বাড়আউলিয়া থেকে ডিবি পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে গেলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ডিবি শাখা ও থানায় সন্ধান করলেও তাকে আটকের কথা অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মধ্যম সোনাইছড়ি (বারআউলিয়া) এলাকার বাসিন্দা আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে বারআউলিয়া এলাকার সংবাদপত্র এজেন্ট মো. এসএম ইয়াছিন (৫৭) প্রতিদিনের মতো গত রোববার সকালে নিজ অফিসে বসে স্থানীয় পত্রিকা হকারদের মাঝে সংবাদপত্র বিতরণের কাজ করেন। তারপর হকাররা তার কাছ থেকে পত্রিকা নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে চলে যান।
এদিকে সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে তার অফিস থেকে তাকে একটি হায়েছে তুলে ঢাকামুখী সড়কের দিকে চলে যান। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার এক হকার মো. আজিজ। তিনি জানান, ৬-৭ জন লোক গায়ে ডিবির জ্যাকেট পরে হায়েছে বসে ছিলেন। এমনকি যে তিনজন ইয়াছিনকে নিয়ে যাবার জন্য গাড়ি থেকে নিচে আসেন তাদরে মধ্যেও দুজনের গায়ে ডিবি লেখা জ্যাকেট ছিল।
এদিকে ঘটনার পর থেকে হকার ইয়াছিনের ব্যবহৃত নম্বরে ফোন করলে সেটি ব্যস্ত দেখায়। সারাদিন এ নম্বরটি ব্যস্ত দেখাচ্ছে। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকে ইয়াছিনের মেঝ ভাই মাস্টার মো. মাহবুবুর রহমানসহ তার স্বজনরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে যোগাযোগ করলেও কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। এজেন্ট ইয়াছিনের ভাই মাহবুবুর রহমান জানান, সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে আমার বড় ভাইকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাবার খবর পাবার পর থেকে আমরা তার কোন খবর পাচ্ছি না। তার স্ত্রী, ২ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা সবাই পাগলের মতো কাঁদছে এবং দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।
সীতাকুন্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলনে, ডিবি পরিচয়ে যেহেতু তাকে তুলে নেয়া হয়েছে বলে তারা দাবি করছেন। তাই আমরা ডিবির বিভিন্ন কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছি। কোথাও তার সন্ধান পাইনি। তবুও ডিবির কোন কার্যালয় থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে কিনা সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি। ইয়াছিনের মোবাইল নম্বরটিতে কল করলে সেটি ব্যস্ত দেখাচ্ছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন