পুরাতন ভবন সংষ্কারের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ পাওয়ার কথা থাকলেও নিয়ম-বহির্ভূতভাবে ছয়টি নতুন ভবনও পেয়েছে এই বরাদ্দ।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে মাইনর (ক্ষুদ্র) মেরামতের জন্য ৬৫টি বিদ্যালয়ের বিপরীতে ২ লাখ টাকা করে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা অফিস নিয়ম বহির্ভূতভাবে উপজেলার মধ্য বাসন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মজিদবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাজিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব নতুন শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়কে ক্ষুদ্র মেরামত কাজের বরাদ্দের অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষা অফিস। এগুলোর কোনোটা বছরখানে আগে হস্তান্তর করা আবার কোনোটার কাজ চলমান রয়েছে। অথচ পুরাতন জরাজীর্ণ অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান।
পূর্ব নতুন শ্রীনগর বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয় ভবনটি একেবারেই নতুন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন জানান, করোনার ভেতরে বিদ্যালয়টির নতুন ভবন হয়েছে। যে বরাদ্দ পেয়েছি তা দিয়ে ৭০ হাজার টাকার বেঞ্চ, ২৪ হাজার টাকার টেবিল, ৩০ হাজার টাকার চেয়ার এবং ১৬ হাজার টাকার আলমারি ক্রয় করেছি। বাকি টাকাও খরচ করবো।
ময়দা সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা থেকে ২৪ হাজার টাকা ভ্যাট কর্তন করা হয়েছে। বাকি টাকা দিয়ে পুরাতন ভবনে রং এবং চেয়ার টেবিল ক্রয় বাবদ খরচ করা হয়েছে। এখনো যে টাকা রয়েছে পরবর্তীতে খরচ করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসা. জিন্নাত জাহান বলেন, স্টিমিট অনুসারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নতুন ভবনে ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা ব্যয় করতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন