শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিসৌধে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের স্মরণে নির্মিত বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ বেদীতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় বিউগলে করুন সুর বাজানো হয়। শহীদদের সম্মানে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক সাংবাদিকদের বলেন, সকল ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি নবতর সোপানে এগিয়ে যাবে। দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে যে ষড়যন্ত্র, সেই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বাঙালি জাতি নবতর সোপানে এগিয়ে যাবে, এই হল এবারের বুদ্বিজীবী দিবসের প্রত্যয়, এবারের শপথ। পরে একে একে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানায় কেন্দ্রীয় ১৪ দল, শহীদ পরিবারের সন্তান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা।
এছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাজধানীর রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা আন্তর্জাতিক চক্রকে সাথে নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই সময়েও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকেট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শ্রদ্ধ নিবেদন শেষে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলন্ঠিত করে সরকার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করছে। আমরা এবছর স্বাধীনতার ৫০ বছর পুরণ করতে চলেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছিলাম সেই লক্ষ্য গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ছিলো, তা ভূলন্ঠিত করে এখন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য বর্তমান শাসকগোষ্ঠি বিভিন্নভাবে এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা অসংখ্য মানুষকে খুন করেছে, গুম করেছে, পঙ্গু করে দিয়েছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের চিকিৎসক, শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রকৌশলীসহ অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ হত্যা করেছে তারা। জাতিকে মেধাশূণ্য করার লক্ষ্যে তারা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সহ-সভাপতি সাজিদ হাসান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, দারুসসালাম থানা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এসএ সিদ্দিক সাজু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ১০নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মাসুদ খান, মহানগরের হুমায়ন কবির রওশন, সাইদুল ইসলাম সাইদুল, হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, মো. আরিফ মৃধা, মো. বাবুল মিয়া, মো. মিজানুর রহমান মিজান, মো. মোস্তফা বেপারি, গাজী জহিরুল ইসলাম সবুজ, মোহাম্মদ আইয়ুব, আবুল হাসান টিটু, আশরাফুল হোসেন মামুন, আমিনুর রহমান শান্ত, তরিকুল ইসলাম রানা, আবু রাসেল চৌধুরী মিঠু, মোমিনুল ইসলাম মমিন, মনিরুল ইসলাম মনির, সোলায়মান দেওয়ান, আনোয়ার সাদাত খান রনি, শাহজালাল সম্রাট, মেহেদী হাসান রুবেল, মাসুদুর রহমান মাসুদ।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়,সহ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকরাও এসেছিলেন রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন