বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন অভাবনীয় গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রোস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস বলেন, ‘এরই মধ্যে ৭৭টি দেশে এটি ধরা পড়লেও অনেক দেশে হয়তো পৌঁছে গেছে, কিন্তু এখনও শনাক্ত করা যায়নি।’
নতুন এই ভ্যারিয়্যান্ট মোকাবিলায় যথেষ্ট কিছু করা হচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন টেড্রোস আধানম। তিনি বলেন, ‘এটা নিশ্চিত, আমরা আমাদের দিক থেকে এই ভ্যারিয়্যান্টকে কম গুরুত্ব দিচ্ছি। মারাত্মক অসুস্থতা তৈরি যদি নাও করে, ব্যাপক মাত্রায় সংক্রমণের ফলে অপ্রস্তুত চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।’
নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন প্রথম ধরা পড়ে। সে দেশে এখন ব্যাপক হারে সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন।
ওমিক্রনের আগমনে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের ওপর এরই মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পৃথিবীর অনেক দেশ। তবুও কিন্তু বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায়নি।
টেড্রোস আধানম বলেন, ‘কোভিড-১৯ ছড়ানো ঠেকাতে টিকার বুস্টার ডোজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু, এখানে অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘ব্যবস্থাপনা একটি বড় ব্যাপার। মৃত্যু ও মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা যাদের কম- এমন লোকজনকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার মাধ্যমে অন্য জায়গায় যাঁরা এখনও প্রথম ডোজ টিকাই দিতে পারেননি, তাঁদের জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়।’ সূত্র : বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন