মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কা কিছুটা সামাল দিতে না দিতেই ফের এক বিরল ভাইরাসজনিত রোগ ভাবিয়ে তুলছে বিশ্বকে। মাংকিপক্স নামের এই রোগ এরই মধ্যে ছড়িয়েছে বিশ্বের প্রায় ১১টি দেশে। ভাইরাসটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রচারিত হচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলোতে। তবে এবার এ নিয়ে মুখ খুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ডেভিড হেইমেন বলেছেন, এই মাংকিপক্সের বিষয়ে একটি সার্বজনিন গাইডলাইন প্রদানে কাজ করছে ডব্লিউএইচও। খবর রয়টার্সের।
গত শুক্রবার (২২ মে) এ নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক বসে ডব্লিউএইচও এর। সেই বেঠকে নেতৃত্ব দেন মহামারি এবং অতিমারি সম্ভাবনার সাথে সংক্রামক ঝুঁকি সম্পর্কিত ডব্লিউএইচও এর কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা দলের প্রধান ডেভিড হেইমেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তার ভিত্তিতে ডব্লিউএইচও এর একটি কার্যকারী তত্ত্ব হলো, এই রোগটি প্রধানত যৌন সংক্রামক রোগ হিসেবে ছড়িয়ে পড়ছে।
এই রোগ প্রধানত যৌনতার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে উল্লেখ করে ডেভিড বলেন, এখন পর্যন্ত যা মনে হচ্ছে তাতে মাংকিপক্স এখন একপ্রকার যৌন সংক্রামক রোগ হিসেবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে যারা সংক্রমিত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের মধ্যে যৌন সম্পর্ক আছে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। রোগটি বর্তমানে যৌনরোগ রূপে থাকলেও সংক্রমিত মানুষের সংস্পর্শে আসলেও এটি অন্যের শরীরে আক্রমণ করতে পারে। তবে এখনই এটিকে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে না জানিয়ে ডেভিড বলেন, এখনই এই রোগকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেয়ার সময় আসেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়ে একটি উচ্চ মাত্রার সতর্কতা জারি করতে পারে।
ডেভিড হেইমেন বলেন, খুব দ্রুত বিশেষজ্ঞরা এই রোগের জন্য নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন সামনে আনবেন। গ্রীষ্মের মৌসুমে জনসমাগম বা কোনো উৎসব উপলক্ষে মানুষের সমাবেশের মাধ্যমে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে বেশ কিছু দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মাংকিপক্স মূলত একটি সংক্রামক রোগ, যা সাধারণত হালকা উপসর্গ বিশিষ্ট হয়ে থাকে। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু অংশ এই রোগের উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত। সংক্রমিত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন