শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জামিন নিতে আদালতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র চয়ন

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:১১ এএম

পটুয়াখালীতে প্রতারণা এবং বিশ্বাস ভঙ্গের একটি মামলায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ৮ বছরের চয়নকেও আসামি করা হয়েছে। আর এতে চয়নের বয়স দেখানো হয়েছে ২২ বছর। এদিকে গতকাল বুধবার চয়ন পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট আদালত আবেদনটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠায়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক তাৎক্ষণিকভাবে শিশু চয়ন এবং তার ১৭ বছর বয়সী বোন তৃপ্তিকে জামিন প্রদান করেন। এ ঘটনায় আদালত পাড়ায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। জেলার কলাপাড়া উপজেলার তুলাতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ আল ইসলাম চয়ন। সহপাঠিরা যখন বিদ্যালয়ের ক্লাস করছে, সে সময়ে চয়ন মা ও মামার হাত ধরে পটুয়াখালী আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। চয়নের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সোলায়মান সিকদার জানান, কলাপাড়া উপজেলার তুলাতলি এলাকার বাসিন্দা মাসুম তালুকদার। ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর মাসুম তালুকদার মারা যাওয়ার পর জনৈক মাসুম বিল্লাহ নামে এক ব্যক্তি ৮৪ লাখ টাকা দাবি করে মাসুম তালুকদারের ওয়ারিশদের নামে এ বছরের ১২ আগস্ট পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় শিশু চয়নের বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ২২ বছর। প্রকৃতপক্ষে জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী চয়নের জন্ম তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৩। এছাড়া চয়নের বোন তুলাতলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া ইমরোজ তৃপ্তির বয়স ১৭ বছর হলেও তার বয়স ১৯ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া চয়নের মা, দাদীসহ ওই মামলায় মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করলে আসামিরা হাজির হন। গতকাল বুধবার আসামি শিশু চয়ন এবং তার পরিবারের সদস্যরা আদালতে উপস্থিত হলে আদালতে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশিকুর রহমানের কাছে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে প্রেরণ করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মো. মইনুল হক তাৎক্ষণিকভাবে আসামি শিশু চয়ন এবং তৃপ্তিকে জামিন প্রদান করে এবং বাদীপক্ষের আইনজীবীকে তলব করেন।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোহসীন উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে তিনি আদালতে কথা বলবেন বলে জানান। পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে বিচার প্রার্থী এবং আইনজীবীদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এদিকে শিশু চয়নের মা সাবরিনা বিশ্বাস মনু বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাদের হয়রানি এবং জমি-জমা দখলের লক্ষ্যেই এই ধরণের মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন