মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজের নিখোঁজ ২ নাবিকের মধ্যে একজন লস্কর জিহাদ (২১) এর লাশ এক মাস ২ দিন পর উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকায় কার্গোটি উদ্ধার কজে সংশ্লিষ্ট ডুবুরি দল এ লাশটি জাহাজের মধ্যে থেকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে মোট ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। এখনও নিখোঁজ রয়েছে নাবিক লস্কর হামিদ। উদ্ধার হওয়া নাবিক জিহাদ পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর ভিটা বাড়িয়া গ্রামের মঞ্জু মার্কেট এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে। জিহাদের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা গতকাল বিকালে মোংলায় পৌঁছে।
গত ১৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বন্দরের একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে ছেড়ে আসার সময় অন্য একটি জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ এমভি ফারদিন-১। এসময় ওই কার্গোতে থাকা ৭ নাবিকের মধ্যে রিয়াজ ও রায়হান নামের দু’জন সাতরে নদীর পাড়ে উঠতে পারলেও গ্রিজার ও সুকানিসহ ৫ জন নিখোঁজ হয়।
মোংলা থানার পুলিশ জানায়, জাহাজ ডুবির সময় ৭ নাবিকের মধ্যে দু’জন সাতরিয়ে কিনারে উঠতে পারলেও গ্রিজার ও সুকানিসহ ৫ নাবিক নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও কোস্টগার্ডের পৃথক দল দুর্ঘনাস্থলে ছুটে যায় এবং উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ৪ দির পর দিনভর উদ্ধার অভিযান চালায় নৌ-পুলিশ ও মোংলা কোষ্টগার্ড সদস্যরা। পরের দিন বিকালে কার্গোটি ডুবে যাওয়া স্থান থেকে হারবাড়িয়া এলাকার কিছুটা দক্ষিণে দুজনের লাশ ভেসে উঠলে তখনই কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল লস্কর মইন উদ্দিন ও গ্রীজার নুর ইসলামের লাশ উদ্ধার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন