একসময় আমেঠি ছিল তার দূর্গ। সেখান থেকেই তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার বাবা, মা সকলেই রাজনৈতিক জীবনের কোনও না কোনও সময়ে আমেঠির মাটি থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। সেই আমেঠি থেকেই উত্তরপ্রদেশের ভোটের প্রচার শুরু করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
আর ‘ঘরের মাটি’ থেকে রাহুল ফের উসকে দিলেন হিন্দু-হিন্দুত্ববাদী বিতর্ক। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ভারতে যা যা সমস্যা সব এই হিন্দুত্ববাদীদের জন্য। আমেঠিতে এদিন একটি বড় শোভাযাত্রা এবং একটি জনসভা করেন রাহুল। দুই জায়গাতেই রাহুল প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন, দেশের সব সমস্যার মূলে হিন্দুত্ববাদীরা। শোভাযাত্রা থেকে কংগ্রেস নেতা বললেন, ‘আজ দেশে মূল্যবৃদ্ধি চরমে। দুঃখ-দুর্দশা চরমে। আর এসবের মূলে হিন্দুত্ববাদীরা। আজ লড়াই হিন্দু এবং হিন্দুত্ববাদীদের। হিন্দুরা সত্যাগ্রহে বিশ্বাসী আর হিন্দুত্ববাদীরা সত্তা অর্থাৎ ক্ষমতার প্রতি আগ্রহী।’
শোভাযাত্রার পর জনসভা থেকেও হিন্দু এবং হিন্দুত্ববাদীদের পার্থক্য বোঝানোরই চেষ্টা করলেন কংগ্রেস নেতা। বললেন, ‘হিন্দুরা কখনও মিথ্যা কথা বলে না। আর হিন্দুত্ববাদীরা মিথ্যা কথা বলে। হিন্দুরা ক্ষমতার লোভে দুর্বলদের উপর আক্রমণ করে না। হিন্দুত্ববাদীরা ক্ষমতার লোভে সত্যকে ভুলে যায়।’
এদিন আমেঠির মানুষের নস্ট্যালজিয়াও জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন কংগ্রেস নেতা। বলেছেন, “আমেঠির সঙ্গে আমাদের পুরনো সম্পর্ক। আমার বাবা, দিদারা এখান থেকে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। এটা পারিবারিক সম্পর্ক। রাজনৈতিক সম্পর্কে মানুষ মিথ্যা বলে। কিন্তু পারিবারিক সম্পর্কে কেউ মিথ্যা বলে না। আমাদের এই সম্পর্ক আগামী দিনেও থাকবে। তাই মিথ্যা বলব না।”
ঘটনাচক্রে এদিন উত্তরপ্রদেশের আরেক প্রান্তে বিরাট জনসভা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে তুলনায় এদিন রাহুলের জনসভাতে জৌলুস অনেকটাই কম ছিল। তবে, মিছিলে যেভাবে কংগ্রেস সমর্থকরা উৎসাহ দেখিয়েছেন, তা কংগ্রেস নেতৃত্বকে অনেকটাই স্বস্তি দেবে। সূত্র: এনডিটিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন