সর্বসম্মতিক্রমে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হলেন রাহুল গান্ধী। এতদিন কংগ্রেসের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দলটির সভানেত্রী ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কংগ্রেসের দলীয় সভাপতি পদে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল। রাহুল গান্ধী ছাড়া অন্য কেউই ওই পদের জন্য মনোনয়নপত্রই জমা দেননি। বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় দলের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের (সিইএ) চেয়ারম্যান মুলাপল্লী রামচন্দ্রন নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করেন।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর বর্তমান পার্টি প্রধান ও তার মা সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে উপমহাদেশের প্রথম রাজনৈতিক দলটির ভার নিজের কাঁধে তুলে নেবেন রাহুল। নেহেরু-গান্ধী পরিবারের ষষ্ঠ সদস্য হিসেবে কংগ্রেস প্রধান হলেন রাহুল।
রামচন্দ্রন আরও জানিয়েছেন, গুজরাট ভোটের পর আগামী ১৬ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন রাহুল। এখন গুজরাটে প্রচারের কাজে ব্যস্ত রাহুল।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেন রাহুল গান্ধী। তাঁর পক্ষে ৮৯টি মননোয়ন প্রস্তাব জমা পড়েছিল বলে জানান রামচন্দ্রন। লাখের বেশি কংগ্রেস কর্মী এই সাংগঠনিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সে সময় শোনা গিয়েছিল, গুজরাটের ভোট-পর্ব মেটার পর সভাপতি পদে দায়িত্ব নেবেন রাহুল। ১৮ ডিসেম্বর গুজরাটের ফলাফল ঘোষণার আগে রাহুলের দায়িত্ব গ্রহণকে কটাক্ষ করেন সিনিয়র নেতারা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একাধিক জনসভা থেকে ‘আওরঙ্গজেব রাজ’ বলে রাহুলের সমালোচনা করেন।
তবে কংগ্রেসের নেতাদের মতে, গুজরাট নির্বাচনে রাহুলের প্রভাব স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপি নেতাদের কার্যত ‘চাপে’ ফেলেছেন তিনি। হার্দিক প্যাটেলের মতো নেতাদের সঙ্গে জোট করাও রাহুলের সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীকে ‘নীচ আদমি’ মন্তব্য করায় মণিশঙ্কর আইয়ারের মতো সিনিয়র নেতাকে সাসপেন্ড করেছেন। গুজরাটে প্রচারে দলের নবীন ও প্রবীণ দু’পক্ষকেই সামিল করে ভারসাম্য বজায় রেখেছেন। গুজরাটের ফলাফল নিয়ে তাই আশাবাদী কংগ্রেসও। টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন