শিবচর (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে নাব্যতা সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করার সাথে সরু চ্যানেলটিতে পদ্মা সেতুর ড্রেজিং বসানোয় রবিবার মধ্যরাত থেকে ফেরি পারাপারে অচলাবস্থা নেমে এসেছে। ২টি ফেরি ডুবোচরে আটকে পড়ায় মধ্যরাত থেকে এ রুটের রো রো ও ডাম্ব ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেয় কর্তপক্ষ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পাশে শতাধিক নৈশ্যকোচসহ ৪ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকে ছিল। ফলে এসময় যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে ।
বিআইডবিøউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, টানা ২ মাস ধরে রাজধানী ঢাকার সাথে স্বল্প দূরত্বের শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের শিমুলিয়ায় দ্রæত পানি কমায় তীব্র নাব্যতা সঙ্কট দেখা দেয়। সঙ্কট এতটা প্রকট রূপ নিচ্ছে যে, প্রতিটি ফেরিই ধারণক্ষমতার কম যানবাহন নিয়ে চলতেও হিমশিম খাচ্ছে। মাঝ নদী বরাবর অসংখ্য ডুবোচর পড়ায় ফেরি, লঞ্চসহ নৌযানগুলো দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার ভাটি ঘুরে পার হচ্ছে। পানি কমার সাথে সাথে সঙ্কট আরো প্রকট রূপ নিচ্ছে। বিশেষ করে এ রুটের লৌহজং টার্নিং ও পদ্মা সেতুর চায়না ড্রেজিং পয়েন্টে পরিস্থিতি ভয়াবহ। এরই মধ্যে পদ্মা সেতুর চায়না ড্রেজিং পয়েন্টে রোববার রাতে সেতুর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ড্রেজার স্থাপন করে। এরপর রাত ১টার দিক রো রো ফেরি শাহআলী ও ডাম্ব ফেরি ল্যান্টিন ওই এলাকার ডুবোচরে আটকা পড়ে। রাত ৪টায় ফেরি দু’টি উদ্ধার হলেও সরু চ্যানেলে চায়না ড্রেজার স্থাপন করায় এ রুটের ৩টি রো রো ও ৭টি ডাম্ব ফেরি পারাপার বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। ৬টি ছোট আকারের কে-টাইপ ফেরি সচল থাকলেও সেগুলোও ধারণক্ষমতার কম যানবাহন নিয়ে সাবধানে চলছে। এ রুটের ১০টি ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে শতাধিক নৈশকোচসহ ৪ শতাধিক যানবাহন। এসময় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
বিআইডবিøউটিসি কাওড়াকান্দি ঘাট ম্যানেজার আ: সালাম বলেন, রো রো ও ডাম্ব ফেরি বন্ধ থাকলেও ছোট আকারের কে-টাইপ ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সঙ্কট নিরসনে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষ চায়না ড্রেজার কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করছে। আশা করি সন্ধ্যার মধ্যেই ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন