শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোড়া খুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আসন্ন নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক ও তার সহযোগী বাদল সরকারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার নিহত এরশাদুল হকের ছোট ভাই আকতারুজ্জামান বাদী হয়ে ১৫ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে নজরুল ইসলামকে। মামলায় এজাহারভূক্ত আসামীদের মধ্যে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীও রয়েছেন। এরা হলেন-সজীব চৌধুরী (শামীম আব্দুল্লাহ) ও রফিকুল ইসলাম রতন। এরা দুইজনই আসন্ন নাটঘর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন। নিহত এরশাদুলও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এ ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত এরশাদুল হক নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে ও নাটঘর ইউনিয়ন যুবলীগ এর সাধারন সম্পাদক ছিলেন। পিতার অসুস্থতার কারণে তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে পিতার বদলে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

এদিকে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক ও তার সহযোগী নান্দুরা গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে বাদল সরকার খুন হওয়ার পর থেকে এলাকা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আকষ্মিক এই কিলিং মিশন এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক আতংকের সৃষ্টি করেছে। এতে গ্রামে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ার পাশাপাশি নাটঘর বাজারের বেশীর ভাগ দোকান পাটও বন্ধ রয়েছে। আচমকা কমে গেছে মোটর সাইকেলের চলাচল। অনেকটা উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে এলাকাবাসী।
একাধিক সূত্র জানায়, সুপরিকল্পিত এই কিলিং মিশনে অন্তত ১৬/২০জন অংশ নেয়। ৬/৭টি মোটরসাইকেল ভাড়াকরা কিলাররা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে উল্লাস করতে করতে চলে যায়। স্থানীয়রা মনে করছেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল খুন হয়ে থাকতে পারেন। তাদের মতে, এরশাদুল অনেক জনপ্রিয় ও মিশুক হওয়ায় তার প্রতি জনগনের ব্যাপক সমর্থন ছিল। এতে ইশ্বার্ণিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে। মাঠে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। প্রসঙ্গত গত শুক্রবার রাতে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এরশাদুল হক ও তার সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নির্বাচন ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন