বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন,“যুবলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি একটি শুদ্ধি অভিযানের মধ্য দিয়ে ২০১৯ সালে নির্বাচীত হয়েছিল,আপনারাই মূল্যায়ন করবেন আমরা পরিবর্তন আনতে পেরেছি কিনা মানসিকতার,সকলের সহযোগীতায় বর্তমান যুবলীগ অন্ধকার কাটিয়ে মানবিক যুবলীগে আবর্তিত হয়ে আলোর দিকে ধাবমান।
সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী এ্যাড.আবুল কাসেম ষ্টেডিয়ামে আয়েজিত জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী-১ আসনের সাংসদ এ্যাড. মোঃ শাহজাহান মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুল মান্নান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ মোঃ মহিবুর রহমান মুহিব, পটুয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ এস এম শাহাজাদা, সংরক্ষিত সাংসদ কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান মোহন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, এ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত। সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক এ্যাড. আরিফুজ্জামান রনি।
শেখ পরশ বলেন,বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন দূর্নীতি সমাজের ক্যান্সার রোগের মত ,একবার সমাজে এ রোগ ঢুকলে সহজে এ থেকে মুক্তি পাওয়া কষ্ঠকর। আমরা জানি দূর্নীতি থেকে সমাজকে সম্পূনভার্বে মুক্ত করা হয়তোবা কঠিন কাজ।কিন্তু দূর্নীতি নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব,এবং এটা বর্তমান প্রজন্মের যুবলীগ কেই করতে হবে,যুবলীগ দূর্নীতি নিয়ন্ত্রীত সমাজ গঠনে নেতৃত্ব দেব।ধাপে ধাপে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আতœসংশোধনের মাধ্যমে দূর্নীতিকে বর্জন করা সম্ভব।শুধূ আইন করে দূর্নীতি রোধ করা যাবেনা যদি না আমরা সামাজিক অন্দোলন গড়ে না তুরতে পারি। সামাজিক অন্দোলন করতে হবে যুবলীগের নেতাকর্মীদের এর জন্য প্রয়োজন হবে লোভ সংবরন করতে হবে,ব্যাক্তিগত আর্থিক স্বার্থ পরিহার করা। শুধূূ মাত্র আইন করে কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে দূর্ণীতি বন্ধ করা অবশ্যই কঠিন কাজ,জনগনের সম্পৃক্ততা ছাড়া।মুজিব শতবার্ষিকীর বিজয়ের এ সুবর্নজয়ন্তীতে আমাদের লক্ষ একট সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আমরা সবাই বলি বা গান গাই আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি কিন্তু প্রেম এবং ভালবাসার সাথে সাথে কিছু দায়িত্ব থাকে,আমরা কি সেই দায়িত্ব পালন করি ,নিজেকে প্রশ্ন করা উচিৎ।বিজয়ের সাথে সাথে অর্জিত হয় দায়িত্ব সেই দায়িত্ব কাধে নিয়ে আগাতে হবে সামনের দিকে।ভবিষ্যতে যুবলীগ বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবে। যুবলীগের দুইটি দায়িত্ব, প্রথমত জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজপথে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে হবে দ্বিতীয়ত তার অর্জন সমূহকে রক্ষা করতে হবে তিনি বাংলাদেশকে যে সম্মান এনে দিয়েছেন তা আমাদের ধরে রাখতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “ সাংগঠনিক পদ কেবলমাত্র সাংগঠনিক কাজেই ব্যাবহার করবেন, পদ-পদবী কারো ব্যাক্তিগত পকেট ভারী করার জন্য নয়, তাই যারা ব্যাক্তিস্বার্থে পদ-পদবী প্রত্যাশা করছেন তারা সতর্ক হন, যুবলীগ কখনোই এটা মেনে নেবেনা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতদের পক্ষে। আমাদের দলে অনেক ত্যাগী নেতা রয়েছেন যারা বিভিন্ন সময়ে শেষিত নিপিড়িত হয়েছেন। আমাদের উচিৎ তাদের সম্মান করা ও তাদের প্রকৃত মূল্যায়ন করা, এই সংগঠনে তারা এখনও শোষিত বঞ্চিত হবে আর দলে ভুইফোড় অনুপ্রবেশকারীরা রাম রাজত্ব করবে এটা মানা যায়না। তাই যারা বিভিন্ন সময়ে দলের দুঃসময় নির্যাতিত হয়েও কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন, ত্যাগী, সাংগঠনিক ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সেইসব নেতা-কর্মীদের নির্বাচিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
জনাকীর্ণ সম্মেলনে ২০ হাজারের অধিক যুবলীগ সদস্যের সমাগম ঘটে।যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে পটুয়াখালীর পায়রা সেতু থেকে পটুয়াখালী শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট সমাবেশ স্থল বিশেষ করে সমাবেশ স্থল থেকে পটুয়াখালী সার্কিট হাউজ পর্যন্ত শত শত রঙ্গিন ,ব্যানার ফেস্টুন দ্বারা বর্নিল সাজে সাজানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন