সাবেক চীফ হুইফ ও পটুয়াখালী-২ আসনের এমপি আসম ফিরোজের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগটি খারিজ করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেন ২০৩ ধারায় মামলার আবেদনটি খারিজ করেছেন বলে নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। এর আগে ১৯ ডিসেম্বর আদেশের দিন ধার্য্য থাকলেও পরবর্তীতে ১৯ তারিখ আদালত পুনরায় গতকাল নতুন করে অদেশের দিন ধার্য করেন। গত ১৪ ডিসেম্বর বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল হক বাদী হয়ে একই আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নিম্ন আদালতের আদেশে বাদী ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাই বাদী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন। আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছিলেন, আজ থেকে ৪৫ বছর পূর্বে অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন ছাত্র নেতা বর্তমান সংসদ সদস্য আসম ফিরোজ বরিশালে আনন্দ মিছিল করেন এবং তার ছবি উল্লাসের সাথে পা দিয়ে মারিয়ে যায়। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ছবিতে জুতার মামলা পরিয়ে আনন্দ মিছিল করেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রশ্নে দলের অভ্যন্তরে বিভেদ সৃষ্টি, স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষে কাজ করা, রাজাকার আলবদরদের পুনর্বাসন, ক্ষমতার অপব্যবহার, চরম অনিয়ম দুর্নীতি এবং নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন।
খারিজ হওয়া ওই অভিযোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং বরিশাল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন ভুলুসহ ১০ প্রভাবশালীকে সাক্ষী করা হয়েছিল। বাদীপক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন