কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে একটি ধারণা বিশেষভাবে প্রচারিত হয়েছে যে, কোটা পদ্ধতির নিয়োগের ফলে সরকারি চাকরিতে মেধাহীনরা ঢুকে পড়ছে। ফলে প্রশাসন মেধাশূন্য হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ, বাংলাদেশ রেলওয়েসহ যেসব চাকরিতে পোষ্য কোটা রয়েছে। আসলে এই কোটার কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাই না। এই যেন ‘তেলা মাথায় তেল দেয়া’! ধনীকে আরও ধনী বানানো, আর গরিবকে আরও গরিব বানানোর প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে দেশে বৈষম্য বাড়ছে। যে পরিবারে একজন চাকরিজীবী রয়েছে, সেই পরিবার তুলনামূলক স্বচ্ছল। তারপর আবার তাদের কেনো বাড়তি সুবিধা দিতে হবে? এসব কোটা চালু থাকায় গরিব এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের সমাজে মূল্যহীন প্রমাণ করছে। এটা বৈষম্য ছাড়া আর কিছু নয়। প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ, রেলওয়ে নিয়োগসহ সকল নিয়োগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা বাতিল হওয়া উচিৎ। আর যদি সুবিধা দিতেই বা হয় তাহলে যুক্তি অনুসারে কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক এই জাতীয় পরিবারের ছেলে-মেয়েকে দেয়া উচিৎ। তাই যেসব চাকরিতে পোষ্য কোটা আছে, সেগুলো বাতিল করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন