পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টোর পিটুনিতে শাহীন চৌধুরী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনার প্রতিবাদে পরশুরাম- সুবার বাজার সড়ক অবরোধ করে চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিক্ষোভ কারিরা সকাল ১১ টার দিকে পরশুরাম থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
এঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফিরুজা আক্তার বাদী হয়ে মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান ভুট্টোকে ২ নং আসামী করে এবং আবুল হাশেম কে প্রধান আসামী, পরিষদের বর্তমান সদস্য জাহেদ হোসেনকে ৩ নম্বর আসামী করে ৬ জনকে এজহার নামিয় এবং অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরোদ্ধে । মামলা দাযের করেছেন।
বৃহস্পতিবার(২৩ ডিসেম্বর) রাতে মির্জানগর ইউনিয়নের উত্তর বাজার এলাকার বাবুল কন্টাক্টরের দোকানে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শাহীন চৌধুরী একই এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায পুলিশ চেয়ারম্যানের সহযোগী এনায়েত হোসেন আকাশ(২২), আবদুর রহিম(২৫), মো: আজিম,মো: আরিপ হোসেনসহ ৪ জনকে আটক করেছে। চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত শাহীন চৌধুরী পরশুরাম বাজারের বাবুল কন্টাক্টরের রড সিমেন্ট দোকানে কর্মরত ছিলেন। সে দোকান থেকে চেয়ারম্যান ভুট্টুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হাশেম ৭ লাখ টাকার মালামাল বাকিতে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধায় নিহত শাহীন চৌধরী পাওনা টাকা ফেরৎ চাওয়ায় হাসেম ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টুকে ঘটনাটি মোবাইল ফোনে জানায়। ঘটনা শুনে ভুট্টু চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে তার পরিষদের মেস্বার ও যুবলীগ নেতা জাহেদ মেম্বার,ছাত্রলীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের সহযোগী মো: সোহাগ, শরীফসহ বেশকয়েক লোকজন নিয়ে সুবার বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে ঘটনাস্থল পরশুরাম বাজার এসে শাহীন চৌধুরীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা শাহীন চৌধুরীকে উদ্ধার করে পরশুরাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মহি উদ্দিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যপারে পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ হোসেন জানান, ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন