সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চারজন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে বরিশালে চিকিৎসক-ওষুধ পাঠানো হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

 ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে চলন্ত লঞ্চে আগুনের ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা যেন ঠিকমতো হয় সেজন্য বরিশালে চিকিৎসক ও ওষুধ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দগ্ধদের দেখতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেসময় সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জেনেছি। সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডারও ছিল। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যাদের আনা হয়েছে তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও অগ্নিদগ্ধ আরও ৭৬ জন বরিশালে আছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলেও জানান মন্ত্রী। করোনা টিকার বুস্টার ডোজ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, বুস্টার ডোজ চলমান আছে। অ্যাপ চালু হলে টিকাদান কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাÐে দগ্ধ চারজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দগ্ধরা হলেন-বাচ্চু মিয়া (৫০), ইসরাত জাহান (২২), জিয়াসমিন আক্তার (২৮) ও তার ছেলে তামিম হাসান (১০)। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন বলেন, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ অগ্নিকাÐে দগ্ধ চারজন আমাদের এখানে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। দগ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দগ্ধ জিয়াসমিন জানান, আগুন লাগার পর পাড়ে এসে দুই সন্তানকে দুইতলা থেকে নিচে ছুড়ে দেন। এরপর তিনিও লাফ দেন। এরপর কি হয়েছে আর কিছু বলতে পারেননি।
জিয়াসমিনের মামা মো. মামুন জানান, জেসমিন তার স্বামী সন্তান নিয়ে বরগুনা সদরে থাকেন। তার বাবার বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জের সুবাড্ডা এলাকায়। ১০-১২ দিন আগে জিয়াসমিনের নানীর মৃত্যুর খবরে দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি আসে। বৃহস্পতিবার রাতে আবার সন্তানদের নিয়ে বরগুনা ফিরছিল। তিনি আরও জানান, দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে বরিশাল মেডিক্যাল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাদের ৩ জনকে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। পথে মাওয়া ঘাটে মেয়ে মাহিনুরের মৃত্যু হয়। তার লাশ কেরানীগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আবাসিক চিকিৎসক ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাদের হাত-পা ও মুখ আগুনে দগ্ধ হয়েছে। অগ্নিকাÐের ঘটনায় মা ও ছেলেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে জিয়াসমিনের ১২ ও ছেলের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎ লঞ্চটিতে আগুন ধরে। জীবন বাঁচাতে অনেকেই নদীতে লাফিয়ে সাঁতরে তীরে উঠেন। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন