রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ইসি গঠনের সংলাপ জাতির সাথে ইয়ার্কি-ঠাট্টা: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:২৩ পিএম

নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে প্রেসিডেন্টের সংলাপকে প্রহসনমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ইসি গঠনের সংলাপ জাতির সাথে ইয়ার্কি করা, ঠাট্টা করা। আপনি আবার সংলাপের নাম করে দেশ এবং বিদেশকে দেখাতে চাচ্ছেন যে, আমরা তো সংলাপ-টংলাপ করে, একটা সার্চ কমিটি করে আমরা নির্বাচন করব। এগুলো হচ্ছে একটা প্রসাধনী। এটা আওয়ামী মার্কা নির্বাচন কমিশন, হুদা (কে এম নুরুল হুদা) মার্কা নির্বাচন কমিশন, সরকারের তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশন অথবা রকীব মার্কা (কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ) নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য বিভিন্ন রং চং দিয়ে প্রসাধনী দিয়ে, প্রশাধনী চর্চিত একটি সংলাপ।

শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইনসান আলম আক্কাসের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী জাতীয়তাবাদী কৃষক দলে যোগদান উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। যোগদানকারীরা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের হাতে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সংলাপ আদৌও একটা অবাধ, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো সংলাপ নয়। যদি তাই হতো তাহলে প্রেসিডেন্ট প্রথমেই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারেন্টি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে কথা বলতো। যে সরকার প্রতিদ্বন্দ্বীকে আসতে দেন না, ভোটারকে আসতে দেন না, সেই সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এটা কী বিশ্বাস করা যায়? এটা তো পাগলেও বিশ্বাস করবে না।

তিনি বলেন, একটা প্রহসন করার জন্য রাষ্ট্র সংলাপ করছে, এই সংলাপ প্রহসনমূলক। তার নমুনা বোয়ালখালীর চাঁদগাঁও নির্বাচনী এলাকার এমপি মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ তার আসনে একটি ইউনিয়নে তিনি বলেছেন, কারো কেশ (চুল) থাকবে না। যদি তার লোকের বাইরে, আওয়ামী লীগের বাইরে কেউ ভোট পায়। এই প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থাই তো এরকম অসংখ্য মোসলেহ উদ্দিন সারাদেশে আওয়ামী লীগের সিল নিয়ে, আওয়ামী লীগের তকমা নিয়ে এমপি হয়েছেন যেখানে ভোটাররা ভোট দেয়নি।

যোগদানকারী নেতা ইনসান আলম আক্কাস বলেন, ২০১৭ সালে জাগপার প্রিয় নেতা শফিউল আলম প্রধান পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে গেছেন। উনি একজন সাচ্চা জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ ছিলেন। উনার মৃত্যুর পর আমাদের দলের বিভিন্ন সিদ্ধান্তহীনতার কারণে আমরা যারা ছাত্র জীবন থেকে জাতীতাবাদী ধারার রাজনীতি করেছি আমরা কখনো জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধের বাইরে যেতে পারি না। সেজন্য আমরা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের বিচক্ষণ নেতৃত্বে প্রতি পূর্ণ আনুগত্য রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, বিএনপির যে আন্দোলন সেখানে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে কৃষক দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় যোগদান অনুষ্ঠানে কৃষক দলের সহসভাপতি নাসির হায়দার, জামালউদ্দিন খান মিলন, ইব্রাহিম খলিল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলীম হোসেন, ফজলে হুদা বাবুল, ইশতিয়াক আহমেদ নাসির, সাখাওয়াত হোসেন নান্নু, কামরুজ্জামান সেলিম, শাহ মজিবুর রহমান, জাগপার যোগদানকারী নেতা আলীম সরকার, আরিফুল ইসলাম, শাহজাহান আলম সিরাজ, শাহিনুর রহমান শাহিন, মো. ইসহাক, মো. নুর মোহাম্মদ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন