ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান এ আগুন লেগে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাফিয়ে পড়া মানুষের সন্ধানে আজ রবিবার সকাল থেকে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা। তবে এখন পর্যন্ত কোন লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি। নিখোজদের স্বজনদের দাবি কমপক্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ নদীতে লাফিয়ে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে সুগন্ধার তীরে অপেক্ষায় আছেন স্বজন ও সহকর্মীরা। কেউ আবার ট্রলার নিয়ে নদীর বিভিন্ন প্রান্তে খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রিয়জনকে। তাদের অভিযোগ, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যদি আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চটি কোথাও ভেড়াতে পারতো, তাহলে এতো প্রাণহানি ঘটতো না। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এ মৃত্যু হয়েছে। তাই লঞ্চ কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিখোঁজদের স্বজনরা।
এদিকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহে পুলিশের পক্ষ থেকে লঞ্চঘাট এলাকায় একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। সেখানে স্বজনরা এসে তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান। পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নিখোঁজের ৪১ জনের তালিকা করা হয়েছে। পাশাপাশি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ৫১ জনের তালিকা করা হয়েছে।
এছাড়া আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান সুগন্ধা নদীর বিভিন্ন স্থান স্পীডবোট নিয়ে পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন। অনুসন্ধান করে দুর্ঘটনার কিছু কারণ তুলে ধরেন তিনি। দুর্ঘটনার জন্য লঞ্চের স্টাফ দের দায়ি করেছেন তিনি।
লেফটেনেন্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, এটা আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। পুরো তদন্ত শেষ করতে আমাদের প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তার পরে আমরা একটা ধারনা দিতে পারব কোন কারনে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দ্রুত লঞ্চটি এ্যঙ্কর করে পাড়ে থামিয়ে রাখলে এত লোকের মৃত্যু হত না। যেহেতু নদী খুব ছোট। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ সেটা করেনি। যার কারনে হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন