রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফরেন রিজার্ভ নিরাপদ দেশে স্থানান্তরের দাবিতে আইনি নোটিশ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৫৩ পিএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভ নিরাপদ দেশগুলোতে স্থানান্তরের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে । অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। দেশের ‘স্বার্থ রক্ষায়’ ও দেশের জনগণকে ভবিষ্যতে ‘ভয়াবহ পরিণতি থেকে বাঁচানোর জন্য’ এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেন আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

এ নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এই বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ নোটিশ প্রেরণ করেন।

সম্প্রতি দেশের এলিট ফোস র‌্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তথ্য তুলে ধরে আইনি নোটিশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়, সন্ত্রাস দমন, মাদকদ্রব্য ধ্বংস ও মানবপাচার রোধে র‍্যাবের অসামান্য অবদান রয়েছে। যদিও র‍্যাবের বিভিন্ন অপারেশন চলাকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভুল ও কিছু মানবীয় ভুলের কারণে কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে। তথাপি বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় র‍্যাবের অসমান্য ভূমিকা রয়েছে।'

র‌্যাবের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা ‘ষড়যন্ত্রের অংশ’ উল্লেখ করে নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যার ফলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বর্তমানে র‍্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের একটি অংশবিশেষ।’

বিভিন্ন দেশকে চাপে রাখার জন্য তাদের অর্থ-সম্পদ ফ্রিজিং বা বাজেয়াপ্ত করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সংরক্ষণ করা হয় জানিয়ে আশংকা প্রকাশ করা হয়, ‘বর্তমানে বাংলাদেশেকে নিয়ে যেভাবে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বিস্তার লাভ করছে তাতে নিকট ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংরক্ষিত বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভ ফ্রিজিং বা বাজেয়াপ্ত হ‌ওয়ার আশংকা রয়েছে। এরূপ হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের জনগণেরকে অবর্ণনীয় কষ্টের সম্মুখিন হতে হবে।’

এ অবস্থায় আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান দাবি করেছেন, ‘বাংলাদেশ ফরেন রিজার্ভ রক্ষার জন্য নূন্যতম কিছু ফরেন রিজার্ভ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেখে বাকি অর্থ বিভিন্ন নিরাপদ দেশে সংরক্ষণ করতে হবে এবং স্বর্ণ আকারে রাখতে হবে। এছাড়া যেসব দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বেশি সেসব দেশের সাথে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন করতে হবে। যেমন চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে সেই দেশের মুদ্রা রেন্মিন্বি, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রুপি ব্যবহার করতে হবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Akhter Hossain Raju ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৪৫ পিএম says : 0
এটা একটা সঠিক পরামর্শ, এটা করা উচিত বলে আমি মনে করি। কারন আমিরিকা স্বার্থের জন্য বন্ধু হয় স্বার্থ পুরিয়ে গেলে মহুর্তেই দূশমনে পরিনত হয়। আমিরিকা নীজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বুঝে না। তাই আমিরিকায় বাংলাদেশের রিজার্ভ রাখা নিরাপদ নয়।
Total Reply(0)
মোঃ মাসুদ রানা ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:৩৭ পিএম says : 0
অনেক সুন্দর ও যুক্তিযুক্ত পরামর্শ ও আইনি নোটিশ। যে এই আইনি নোটিশ দিয়েছেন তাহাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমেরিকার স্বার্থের কোন ক্ষতি হলেই বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ব ফ্রিজ বা বাজেয়াপ্ত করে দিবে। তাই অবশ্যই যে সব দেশ থেকে আমরা বেশি পরিমাণে আমদানি করে থাকি সে সব দেশে রিজার্ব রাখা যেতে পারে এবং স্বর্ণ আকারে রাখতে হবে।
Total Reply(0)
Hanif A Mahmud ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:৪৪ পিএম says : 0
সব গুলো কথা ভাল লগলো ধন্যবাদ এই আইনজীবি কে দেশের জন্য চিন্তা করে আগেই সাবধান করে দিছেন আপনি।কিন্তু রুপিতে টাকা রেখে কি লাভ।ওদের রুপিও পড়ে জাবে।সোনা কিনে রাখলে সেটা হবে বুদ্বি মানের কাজ।ভরতের রুপি করে কোন লাভ নাই
Total Reply(0)
Akkel ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:২৮ পিএম says : 0
এটি অত্যন্ত ভালো পদক্ষেপ হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বকে বাঁচাতে অচিরেই মার্কিন ডাকাতদের কবল থেকে রিজার্ভকে মুক্ত করতে হবে! 70
Total Reply(0)
Abdus Satter Satter ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:০৭ এএম says : 0
পদক্ষেপ টা মন্দ নয়
Total Reply(0)
Alhajjfazlur Rahman ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:৩৯ পিএম says : 0
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলতে কি বুঝায়‌ তা আগে জানা দরকার। তার আগে জানা দরকার মার্কিনের ব্যাঙ্ক প্রশাসন ও রাষ্ট্র প্রশাসনের মধ্যে সম্পর্কের সিঁড়ি কি? তার আগে জানা দরকার সংবিধানিকভাবে মার্কিন সরকারের মর্যাদা কি? শেষে জানা দরকার ফেডারেল রিজার্ভ কে নিয়ন্ত্রন করে এবং এখান কোন দেশ তার রিজার্ভ স্থানান্তর করতে পারে কিনা ও করলে কোন পশ্চিমা দেশ তা গ্রহণ করবে কিনা এবং তা কি ডলারেই থাকবে নাকি অন্য মুদ্রায় রাখবে। এছাড়া আরো কিছু বিষয় আছে। এবার জবাব শুরু - ১৯১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংবিধানিকভাবে একটি আইন বলে ইহুদি ব্যাঙ্কার অধীনে কর্পোরেট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের দেশের মত ঐ দেশের মূল ট্রেজারি নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে থাকে না। আমাদের যেসব সরকার নিয়ন্ত্রিত কর্পোরেশন আছে নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে তাদেরকে তহবিল সরবরাহ করে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক। কর্পোরেশনের সীমিত অঙ্কের সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত শর্তে নিজস্ব একটা সীমিত ট্রেজারি থাকে। এর সাথে তুলনা করুন, ফেডারেল রিজার্ভ নিয়ন্ত্রণ করে deep state ব্যাঙ্কাররা, এরা সরকারকে কর্পোরেট নিয়মে শর্ত সাপেক্ষে তহবিল খরচের অনুমতি দেয়, কিন্তু তা ফেডারেল রিজার্ভ থেকে নয়।‌ সরকারকে সেই তহবিল উপার্জন করতে হয়। সরকারের উপার্জনের উৎস বৈদেশিক বানিজ্য খনিজসম্পদ আহরণ শিল্প কারখানার আয় ও রাজস্ব। এই অর্জিত তহবিলের একটা অংশ ও তা থেকে অর্জিত লাভ ফেডারেল রিজার্ভে জমা দিতে হয়। রাজস্ব আয়ের অংশ থেকেও ফেডারেল রিজার্ভে জমা দিতে হয়, যা অনেকটা অফেরতযোগ্য।‌ ফলে বিভিন্ন দেশ ফেডারেল রিজার্ভে যে অর্থ জমা রাখেন তার উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন আছে কিনা ভাবা দরকার। যদি কখনো কোন দেশ ফেডারেল রিজার্ভে মজুত অর্থ ফেরত বা স্থানান্তরের অনুমতি পায় তবে তা রাখবে কোথায় ও কোন মুদ্রায়? রুশ ও চীনা মুদ্রায় রাখলে পৃথিবীর আর কোন দেশের বানিজ্য করতে পারবে না। শুধু চীন রুশ পণ্য দিয়ে দেশের চাহিদা মিটবে না, এ থেকে যদি চাহিদা মিটানো সম্ভব হয় তাহলেও সেই পণ্য কোন পথে দেশে আমদানি করবে? পৃথিবীর সকল জলপথে মার্কিন নজরদারি, অন্য কোন মুদ্রার পণ্য পরিবহন করতে দিবে না। যদি ইউরোপে রাখা হয়, তবে শুনে রাখুন পূর্ব পশ্চিম সমস্ত ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা ঐ ফেডারেল রিজার্ভ মালিকদের নিয়ন্ত্রণে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ তাদের একজন জ্যাকব রথচাইল্ড নিয়ন্ত্রণ করেন।‌ এবার আসুন শুধু লিগ্যাল নোটিশ নয়, সুপ্রিম কোর্টের রায় হাতে নিয়ে সারা দুনিয়া ফেরি করলেও ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আওতা থেকে বের হতে পারবেন কিনা হিসাব করুন। শেষ কথা শুনে রাখুন ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের পরিণতি মূল কারণ ছিল তিনি তার দেশের রিজার্ভ বলার থেকে ইউরো মুদ্রা স্থানান্তর করতে চেয়েছিলেন। বারাক ওবামার সময় মার্কিনীরা ইরানকে অনেক বলার ফেরত দিয়েছিল, যা ছিল শাহ্ আমলের অর্থ এবং খোমেনি ক্ষমতায় আসার পর জব্দ করা হয়। কিন্তু আর্থিক নিষেধাজ্ঞার ইরান সেই ফেরত পাওয়া ডলার আজপর্যন্ত কোন কাছে লাগাতে পারেনি। কারণ ইরান ভেনিজুয়েলা ও উত্তর কোরিয়া ডলার ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার বিরোধী এবং ফেডারেল রিজার্ভ মালিকদের Antagonist.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন